গিয়াস উদ্দিন রনি, কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী)
কোম্পানীগঞ্জে গণপরিবহনে ভাড়া আদায়ে নৈরাজ্য
ঈদে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার উদ্দেশে আসা এবং যাওয়ার পথে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। অতিক্তি ভাড়া দিতে অস্বীকার করলে যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও হয়রানি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বাসযাত্রী আবদুল হালিম রকির অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে বসুরহাট আসতে আগে ড্রিম লাইনে জন প্রতি ভাড়া ছিল ২৮০ টাকা। প্রথম ধাপে ঈদের ৩ দিন আগ থেকে জন প্রতি ৩৭০ টাকা আদায় করা হয়েছে, এখন যাওয়ার সময় আদায় করা হচ্ছে ৩৫০ টাকা। বসুরহাট এক্সপ্রেসে চট্টগ্রাম থেকে বসুরহাট আসতে আগে জন প্রতি ভাড়া ছিল ১৮০ টাকা কিন্তু ঈদের আদায় করা হয়েছে ২৫০ টাকা। একই চিত্র তাদের ফিরতি যাত্রায়। কিন্তু ভয়াবহ চিত্র দেখা গেছে লোকাল বাসগুলোর ক্ষেত্রে। ঈদের আগে প্রায় ৪০টি লোকাল বাস চট্টগ্রাম থেকে বসুরহাট আসতে জন প্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আদায় করেছে আর যাওয়ার পথে নেওয়া হচ্ছে ৪০০ টাকা করে।
অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়, নৈরাজ্যকে হার মানাচ্ছে সেবা ট্রান্সপোর্ট। ঈদকে পুঁজি সেবা ট্রান্সপোর্ট ঢাকা থেকে বসুরহাট আসতে জন প্রতি ভাড়া আদায় করেছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। যা নিয়মিত ভাড়া চেয়ে পুরোপুরি দ্বিগুণ। এখন ফিরতে পথেও আদায় করছে ৪০০ টাকা করে। একইভাবে বসুরহাট টু ফেনি লোকাল বাসগুলোতে আগে জন প্রতি ভাড়া ছিল ৩০ টাকা কিন্তু বর্তমানে আদায় করা হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
এ ব্যাপারে ড্রিম লাইন পরিবহনের চেয়ারম্যান আকরাম উদ্দিন চৌধুরী সবুজের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে জানান, সরকারি চার্টে ঢাকা টু বসুরহাট ভাড়া ৪০০ টাকার উপরে। সারা বছর দুই দিক থেকে যাত্রী থাকায় আমরা জন প্রতি ২৮০ টাকা ভাড়া আদায় করি। বর্তমানে একদিক থেকে যাত্রী হওয়ায় একদিক পুরো শূন্য, তাই জন প্রতি ৩৮০ টাকা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
বসুরহাট এক্সপ্রেসের পরিচালক নজরুল ইসলাম নজরুল জানান, সারা বছর বাসের মালিক ভর্তুকি দিয়ে গাড়ি চালান। আমার সামান্য বাড়তি ভাড়া আদায় করছি। এ সময় তিনি অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে লোকাল বাসগুলোর চিত্রও তুলে ধরেন।
জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জামিরুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি এবং বাস মালিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।
"