জালাল হোসেন মামুন, আখাউড়া (ব্রাক্ষণবাড়িয়া)
তিতাস রেল ব্রিজে দর্শনার্থীদের ভিড়
ঈদ উপলক্ষে আখাউড়ার রেলওয়ের তিতাস ব্রিজ এলাকাটি মিনি কক্সবাজারের পরিণত হয়েছে। এখানে সব বয়সী দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ছে। ব্রিজ এলাকাটির চারপাশে নদী আর খাল বিল। বর্ষা মৌসুমে মনে হবে যেন এটি কক্সবাজারের সমুন্দ্র সৈকত। চার দিকে শুধু পানি আর পানি থৈ থৈ করছে। দক্ষিণা হওয়া দর্শনার্থীদের প্রাণ জুড়িয়ে দেয়। ঈদ দিন দুপুর থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীরা দল বেধে পরিবার পরিজন আসছেন একটু বিনোদনে খোঁজে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মনোরম পরিবেশে নিজের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এলাকাটি। কেউ কেউ রেললাইনের স্লিপারের বসে আড্ডা দিচ্ছেন। আবার নৌকা ভাড়া করে তিতাস নদীতে ঘুরছেন। দুপুর থেকে শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত মানুষের ছুটাছুটি। তবে নতুন ব্রিজ দিয়ে ট্রেন চলাচল করলেও থেমে নেই দর্শনার্থীদের চলাচল।
দর্শনীয় স্থানটি আখাউড়া পৌরশহর থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পশ্চিমে তিতাস নদীর পাড়ে। তিতাস নদীর উপর দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেলপথ বয়ে গেছে। প্রায় চার বছর আগে দ্বিতীয় তিতাস রেল ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু। তারপর থেকে এলাকাটিতে মানুষের আনাগোনা শুরু হয়। ওই সময় থেকেই দর্শনার্থীরা এলাকাটি ঘুরে বেড়াতে যায়। আড্ডা দেওয়ার একটি জায়গা খোজে পায় তারা। এরপর থেকে ঈদ বা বিশেষ দিবসে দর্শনার্থীদের ভিড় জমে ওখানে। আখাউড়াতে কোন বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় ওই এলাকাটিকে বেঁছে নিচ্ছেন দর্শনার্থীরা। এ বিনোদন কেন্দ্রটি ঘিরে গড়ে ঊঠেছে বিভিন্ন খাবারের দোকানপার্ট।
ঘুরতে আসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহধর্মিনী অ্যাডভোকেট ঊম্মে শবনম মোস্তারী মৌসুমী (সুপ্রীম কোর্ট) বলেন, আখাউড়াতে ঘুরার কোন স্থান না থাকায় এ স্থানটি দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। শুধু পানি আর পানি। পানি ছুয়ে আসা দক্ষিণা হওয়া মনটা জুরিয়ে যায়। তবে এখানে একটু অসর্তক থাকলে বিপদ ঘটার সম্ভবনা রয়েছে। ট্রেন আসা যাওয়ার দিকে খেয়াল রেখে আড্ডা দিতে হচ্ছে। নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকলে ভাল হত।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শ্যামল কুমার বিশ্বাস বলেন, তিতাস রেলব্রিজে নিরাপত্তা দেয়ার কোন ব্যবস্থা নেই আমাদের।
"