শাহ সুলতান আহমেদ, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ)

  ১৪ জুন, ২০১৮

ঈদ সামনে রেখে নবীগঞ্জের বাজারে ভেজাল খেজুর গুড়

ঈদুল ফিতর সামনে রেখে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে ভেজাল গুড়। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী নিম্নমানের চিনির সঙ্গে সুগন্ধী পাউডার মিশিয়ে এই গুড় উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ করছেন। ক্রেতাদের অভিযোগ, মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর গুড় উৎপাদন ও বিপণন রোধে প্রশাসন কার্যকর কোনো ভূমিকাই রাখছে না।

ঈদে গুড়ের পায়েসসহ অন্যান্য মিষ্টি খাবারের জন্য খেজুর গুড়ের চাহিদা বেশি থাকে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাতিল আখের রসের সঙ্গে নিম্নমানের চিনি, চিটাগুড়, সুগন্ধি পাউডার ও গুড়ের মতো বিশেষ রং দিয়ে তৈরি হচ্ছে ভেজাল খেজুর গুড়। চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত খেজুর গুড়ের মজুদ না থাকায় নবীগঞ্জের মধ্যবাজারের একাধিক ব্যবসায়ী এই গুড় তৈরি করে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে দেদার বিক্রি করছেন। অধিক মুনাফা লাভের আশায় খুচরা বিক্রেতারা বাজারে এই গুড় বিক্রি করছেন।

সরেজমিনে নবীগঞ্জের মধ্যবাজারে একটি দোকানের পেছনের বাসায় মিনি কারখানায় দেখা যায়, খালি মাটির হাড়ি ভেজাল গুড় ভর্তি করে শহরের বিভিন্ন স্থানে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করা হচ্ছে। নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে এসব ভেজাল গুড়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমান বাজারে সাধারণ আখের গুড় প্রতি কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। অন্যদিকে চিনির মূল্য ৬০ টাকা কেজি। আখের গুড়ের সঙ্গে চিনি ও কিছু খেজুর রস মিশিয়ে তৈরি খেজুর গুড় বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে। এতে সাধারণ ক্রেতারা প্রতিদিন ঠকছেন। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে।

উপজেলার আউশকান্দি বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, চিনি জাল দিলে তা পরিমাণে অনেক বেড়ে যায়। আর শুধু খেজুরের রস দিয়ে গুড় তৈরি করলে পরিমাণে গুড় কম হয়। সে জন্যই অধিকাংশ গুড় উৎপাদনকারী গাছি খেজুরের রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে গুড় তৈরিতে ঝুঁকে পড়েছেন। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএসও (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আব্দুস সামাদ বলেন, খেজুর রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে জ্বাল দিলে তাতে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। আর এই চিনি মিশ্রিত ভেজাল গুড় দিয়ে কোনো খাদ্য দ্রব্য তৈরি করে খেলে পেটের পীড়াজনিত নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে শিশুরা লিভার ক্যানসারের মতো ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

বাজারে ভেজালগুড়ের বিষয়টি ‘সুনির্দিষ্টভাবে’ জানেন না দাবি করে উপজেলা সহকারি কামিশনা (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও আতাউল গণি ওসমানী জানান, এই ধরনের অভিযোগ আমাদের কাছে জানালে আমরা তার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist