নড়াইল প্রতিনিধি
চার মাসে ১১ মোটরসাইকেল চুরি
পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ
নড়াইল শহরের একের পর এক মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় চোরা চক্রের এখনো ছোঁয়ার বাইরে। গত চার মাসেই ১১টি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ আছে, শহরে অনেক নম্বর প্লেটবিহীন এবং চোরাই মোটরসাইকেল চলাচল করলেও পুলিশ নিরবতা পালন করছে। ভুক্তভোগী মোটরসাইকেল চালক ও অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, গত মার্চ মাসে ২টি, এপ্রিলে ২টি, মে মাসে ৫টি মোটরসাইকেল চুরি হয়। সর্বশেষ গত শুক্রবার দুপুর ৩টার দিকে নড়াইল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও মাছরাঙা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মীর্জা নজরুল ইসলামের মোটরসাইকেল বাসার সামনে থেকে চুরি হয়ে যায়। এর আগে গত বুধবার পুলিশ লাইনের পূর্ব পার্শ্বে একটি বাসার সামনে থেকে বিকেল ৪টার দিকে চাকরিজীবী আ. হাকিমের মোটরসাইকেল চুরি হয়। তবে একই বাসায় তিন পুলিশ কর্মকর্তার মোটরসাইকেল থাকলেও তা চুরি হয়নি।
নাম না প্রকাশের শর্তে এক মোটারসাইলেক চালক জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রূপগঞ্জ বাসস্টান্ডের পার্শ্বে তেঁতুলতলা এলাকা টিএসআই মো. পান্নু শেখ চোরাই মোটরসাইকেলের কথা বলে একজনকে ‘বাজাজ সিটি-১০০’ সহ আটক করে। তার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা দাবি করা হলেও ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে তিনি ওই সাইকেল ছেড়ে দেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে টিএসআই মো. পান্নু শেখ বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি এবং কখনো কারো কাছ থেকে এক টাকাও নেইনি।
বিজয় সরকার স্মৃতি সংসদের যুগ্ম-সম্পাদক আকরাম শাহীদ চুন্নু বলেন, গত দুই বছর আগে বাসার ভেতর থেকে দুটি মোটরসাইকেল চুরি হলেও আর পাওয়া যায়নি। শহরের সদর হাসপাতাল এলাকা, ইসলামী ব্যাংক এলাকা ও নড়াইল সোনালী ব্যাংকের আশপাশে একটি চক্র গড়ে উঠেছে।
জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিমউদ্দিন পিপিএম বলেন, হঠাৎ করে মোটরসাইকেল চুরি বেড়ে গেছে বিষয়টি সত্য নয়। তবে যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আর টিএসআই যার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়েছেন, সে যদি আমাদের কাছে এসে অভিযোগ করে তাহলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
"