আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি,
‘বাজেট বুঝি না, কম দামে কি খাইতে পারমু তো’
আমরা গরিব মানুষ আমাগোর আবার বাজেট কির? আমরা বাজেট দিয়া কি করমু? আমরা বাজেট বুঝি না কম দামে খাইতে পারমু তো? কম দামে খাইতে চাই। বাজেট প্রতিক্রিয়া কী জানতে চাইলে এভাবেই বললেন আমতলী পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ডের চায়ের দোকানদার কামাল মিয়া (৪৭)।
গতকাল রোববার দুপুরে আমতলী ডাকবাংলোর সামনে তার সঙ্গে কথা হয়। তার মতে সাধারণ মানুষ বাজেট নিয়ে ভাবে না। তারা কোনো রকম ডাল-ভাত খেয়ে জীবনযাপন করতে চায়। অভাবের সংসারে বাজেট নিয়ে চিন্তা করার সময় নেই এসব মানষের।
বাজেট কী? এমন প্রশ্নের জবাবে গৃহিণী শামিমা বেগম (২২) বলেন, বাজেট দিয়া মোরা হরমু কি?, মানষের দ্বারে হুনি বাজেট অইলে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। মিজান নামের একজনের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে তিনি একটি ছোট্ট চাকরি করেন। স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে আমতলী পৌর এলাকায় বসবাস করেন। ৮ হাজার টাকা বেতন পান তা দিয়ে বাসাভাড়া ও সংসারের খরচ চালান। কিন্তু জাতীয় বাজেট ঘোষণাার সঙ্গে সঙ্গে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। বাজেটে দাম বাড়বে এমন অজুহাতে বেশি দামে সিগারেট-বিড়ি, মাছ-মাংসসহ বিভিন্ন পণ্য ক্রয় করতে হয়েছে ক্রেতাদের। তাই ব্যবসায়ীদের কাছে অনেকটা জিম্মি হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
আমতলী নতুন বাজারের চা ব্যবসায়ী মো. সজিব বলেন, বাজেট এলেই পণ্যের দাম বাড়িয়া যায়, চা-পাতাসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যায়। তবে তিনি বেশি দামে বিক্রি করতে পারছেন না। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাজেট মানেই গরিবের পেটে লাথি মারা। তবে সরকার জনবান্ধব বলে জনতার কথা চিন্তা করেই এ বাজেট ঘোষণা করেছেন এমনটাই বললেন, আমতলী পৌরসভার মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মতিয়ার রহমান ।
বাজেট বাস্তবায়ন হবে বলে তিনি আশাবাদী। তিনি আরো বলেন, মানুষ এখন কর দিচ্ছে অপরদিকে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা সোচ্চার রাজস্ব আদায়ে। সব মিলিয়ে বাস্তবায়িত হবে এবারের বাজেট।
আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জি এম দেলোয়ার হোসেন বলেন, সরকার একটি যুগোপযোগী বাজেট প্রণয়ন করেছেন এ বাজেটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।
"