রাজীবপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
বিয়ের প্রলোভনে বাদীকে তদন্ত কর্মকর্তার ধর্ষণ
কুড়িগ্রামে স্বামীর বিরুদ্ধে করা যৌতুক মামলার বাদীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই চান মিয়া। মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে এবং ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করে গণধোলাই দেওয়া হয়। খবর পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিয়ে পড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে আটককৃত পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। গত শুক্রবার সকালে দিকে রৌমারী উপজেলার কলেজপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রৌমারী কলেজপাড়ার কয়েকজন জানান, মাসখানেক আগে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ওই দারোগা মেয়েটিকে নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় উঠেন। পরে মেয়েকে কয়েকবার ধর্ষণ করে। একদিন মেয়েটির চিৎকার শুনে আমরা গ্রামের কয়েকজন তাকে হাতেনাতে আটক করলে রৌমারী থানার পুলিশ এসে বিয়ে পড়ানো হবে বলে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। নির্যাতিত ওই নারী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি আমার স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের অভিযোগ করেছি রৌমারী থানায়। মামলার অফিসার (তদন্ত) কর্মকর্তা আমাকে বিয়ে করবে সে সংক্রান্ত কথা বলবে বলে কলেজপাড়াস্থ একটি ভাড়া বাসায় ডেকে নিয়ে আসে কয়েকবার। কিন্তু বিয়ের বিষয়ে আলাপ না করে গত শুক্রবার আমাকে ঘরে আটকে শারীরিক নির্যাতন করে এবং ধর্ষণ করে।’ ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য এসআই চান মিয়ার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হয় কিন্তু তার ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, মামলার বিষয়ে জানার জন্য বাদীকে ডেকে নিয়ে এসেছিল শুনেছি। তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা তা আমি জানি না। কলেজপাড়া গ্রামে এসআই চান মিয়াকে আটকের খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
"