reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১০ জুন, ২০১৮

জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ ২০১৭

বিভিন্ন ক্যাটাগরি থেকে প্রাপ্ত জয়িতাদের জীবন বৃত্তান্ত মনোহরগঞ্জ, কুমিল্লা।

পারভীন আক্তার

পারভীন আক্তার, পিতা-মোঃ বজলুর রহমান, মাতা-মোসাঃ নুরুন নেছা, গ্রাম-বেতিয়াপাড়া, পোঃ-কাশিপুর মাদ্রাসা, মনোহরগঞ্জ, কুমিল্লা। পারভীন আক্তার বৈবাহিক জীবনে অনেক রকম নির্যাতনের শিকার হয়ে স্বামীর সংসার ছেড়ে বাবার বাড়ীতে চলে আসে এবং বাবার বসতবাড়ীতে নিজের আয় করা টাকা দিয়ে একটি একচালা ঘর করে জীবনযাপন শুরু করে। নিজের একটি সেলাইয়ের মেশিন রয়েছে এবং কিছু হস্তশিল্পের কাজ করে নিজে নিজে আত্মনির্ভরশীল হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে তিনি জয়িতা হয়েছেন।

তাহমিনা আক্তার

তাহমিনা আক্তার, পিতা-হাবিব উল্লাহ, মাতা-ফিরোজা বেগম, গ্রাম- বাদুয়াড়া, পোঃ-হাসনাবাদ, মনোহরগঞ্জ, কুমিল্লা। তাহমিনা আক্তার নিজে হাঁস-মুরগী পালন করে যে টাকা লাভ হয় সে টাকা দিয়ে এলাকার গরীব ও অসহায় মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকেন।

মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গরীব ও অসহায় অসুস্থ রোগীদের সেবা করে থাকেন। এছাড়াও গরীব ও দুস্থ রোগীদেরকে ঔষধ কিনে দেন। সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী ক্যাটাগরিতে তিনি জয়িতা হয়েছেন।

পারুল বেগম

পারুল বেগম, পিতা-মৃত আলী হোসেন, মাতা-রাজিয়া খাতুন, গ্রাম- নারায়ণপুর, পোঃ-লক্ষণপুর, মনোহরগঞ্জ, কুমিল্লা। পারুল বেগম বৈবাহিক জীবনে স্বামীর হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে স্বামীর সংসার ছেড়ে ও স্বামীকে তালাক দিয়ে বাবারবাড়িতে চলে আসে এবং বাবারবাড়িতে এসে নিজের আয় করা টাকা দিয়ে একটি দোচালা ঘর নির্মাণ করে জীবনযাপন শুরু করেন। হস্তশিল্পের কাজ করে নিজে নিজে আত্মনির্ভরশীল হয়েছেন। নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী ক্যাটাগরিতে তিনি জয়িতা হয়েছেন।

রোকেয়া হায়দার

রোকেয়া হায়দার, পিতা-সালামত উল্লাহ ভূঁইয়া, মাতা-ছানোয়ারা বেগম, গ্রাম-রুদ্রপুর, পোঃ-সরসপুর, মনোহরগঞ্জ, কুমিল্লা। রোকেয়া হায়দার সকল প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে উত্তরা ইউনিভার্সিটি থেকে ইসলামিক স্টাডিস বিষয়ে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন।

তারপর নিজ যোগ্যতায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরি নেন। শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে তিনি জয়িতা হয়েছেন।

রৌশনারা বেগম

রৌশনারা বেগম, স্বামী-বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ উল্লাহ ভূঁইয়া, গ্রাম- আশিয়াদারী, পোঃ-হাসনাবাদ, মনোহরগঞ্জ, কুমিল্লা। রৌশনারা বেগম স্বামীর মৃত্যুর পর ছেলে-মেয়েদেরকে লেখাপড়া করিয়েছেন।

তার প্রত্যেকটি ছেলে-মেয়ে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছেন। তিনি অনেক কষ্ট করে তার প্রত্যেকটি ছেলে-মেয়েকে মানুষের মতো মানুষ করেছেন। সফল জননী নারী ক্যাটাগরিতে তিনি জয়িতা হয়েছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist