বেনাপোল প্রতিনিধি
বেনাপোল বন্দরে আগুন, তদন্ত কমিটি
দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দরের অভ্যন্তরে ভারতীয় ট্রাক টার্মিনালের আগুন ২ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখানে ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্য নিয়ে ভারতীয় ট্রাক অবস্থান করে। পাশাপাশি ভারত থেকে বিভিন্ন যানবাহনের চেসিস ও তৈরি মোটরসাইকেল রাখা হয়। আর এক পাশে এসিড জাতীয় পদার্থ ছিল। গত শনিবার রাত ৪টার দিকে আমদানিকৃত পণ্য বোঝাই একটি ভারতীয় ট্রাকে আগুন লাগে। এরপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য ট্রাকে। আগুনে ভারতীয় পণ্য বোঝাই ১০-১২টি ট্রাক ও বেশকিছু মোটরসাইকেল পুড়ে যায়। হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ব্যবসায়ীরা বলেন, দেশের প্রধান এ স্থলবন্দরে এর আগেও আটবার আগুন লাগে। বন্দরের নিজস্ব ফায়ার সার্ভিসে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নেই বলে সব সময়ই তা ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া শুক্র ও শনিবার বন্ধ থাকায় ভারতীয় ট্রাকচালকরা ট্রাক রেখে ভারতে ফিরে যায়। ঘটনাস্থলে থাকলে কিছু ট্রাক আগুনের হাত থেকে রক্ষা করা যেত। বন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা জানান, সাহ্রির খাওয়ার পর পরই হঠাৎ করে বন্দরের ট্রাক টার্মিনালের অভ্যন্তরে ভারতীয় একটি পণ্য বোঝাই ট্রাকে আগুন ধরে যায়। পরে তা মুহূর্তে অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি বন্দর কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি আলহাজ নুরুজ্জামান বলেন, বন্দরের অব্যবস্থাপনায় অগ্নিকা-ে মূল কারণ। জায়গা বৃদ্ধি না করে ট্রাক টার্মিনালের মধ্যে বিভিন্ন মালামাল রাখায় একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। এছাড়াও বন্দরে যে কয়েকবার আগুন লেগেছে তা রোববার ভোরে। এ বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। যশোর ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক পরিমল কুন্ডু বলেন, ‘আমরা আমাদের সাধ্যমতো চারটি ইউনিট মিলে প্রায় ২ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হই।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম জানান, অগ্নিকা-ের কারণ এখনো জানা যায়নি। আর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা সম্ভব না। আমদানিকৃত অনেক পণ্য এখানে রাখা ছিল। কাগজপত্র না দেখে এ বিষয়ে বলা যাবে না। তদন্ত কমিটি হবে তারপর সব জানা যাবে। এদিকে অগ্নিকা-ে ঘটনায় বেনাপোল বন্দর পরিচালক আমিনুল ইসলামকে প্রধান করে ১০ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে উপজেলা প্রশাসন, কাস্টমস, পোর্ট থানা, ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধিও রয়েছে।
"