উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
উল্লাপাড়ার ৫ বাজারে নেই ইজারা একটি চলে ব্যক্তিমালিকানায়
সকালে স্থানীয় কৃষকদের কাঁচাবাজার বসে। আর সারা দিন চলে কেনাবেচা। আছে স্থায়ী দোকানপাটও। বছরের পর বছর এ অবস্থা চললেও নেই সরকারি ইজারা দানের উদ্যোগ। ফলে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এ অবস্থা উল্লাপাড়ার ৫ বাজারের। এর মধ্যে একটি বাজার চলছে এক ব্যক্তিমালিকানায়। অন্যগুলো দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ইজারাহীন চলছে বলে জানা গেছে।
বাজারগুলো হলোÑ ধামাইলকান্দি বাজার, চড়ইমুড়ি বাজার, নলসোন্দা বাজার ও নাগরুহা বাজার। আর স্থানীয় সামছুল সরকারের ব্যক্তিমালিকানায় চলে দীঘলগ্রাম বাজার।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়নের ধামাইলকান্দি বাজার প্রায় আড়াই যুগের পুরনো। এ বাজারে আছে শতাধিক স্থায়ী দোকানপাট। পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্যের অস্থায়ী দোকানের সংখ্যা প্রায় ৫০। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি বাজারটি খোলা থাকে।
কয়ড়া ইউনিয়নের গয়হাট্রা সড়কপথের চড়ইমুড়ি এলাকায় চার মাথায় প্রায় দুই যুগ হলো নিয়মিত বাজার বসছে। এ বাজারে ৫০ থেকে ৬০টি স্থায়ী দোকানঘর আছে। উল্লাপাড়া সদর ইউনিয়নের নাগরৌহা (ছোট্ট বাখুয়া) বাজারটি দুই যুগ ধরে নিয়মিত চলছে। একইভাবে নলসোন্দা বাজারটি বছরের পর বছর ধরে নিয়মিত বসছে। এদিকে উধুনিয়া ইউনিয়নের দীঘলগ্রামে ব্যক্তিমালিকানায় একটি নিয়মিত বাজার বসানো হয়েছে। প্রায় দেড় বিঘা জমির ওপর বাজারটি চলছে। এ জায়গার মালিক সামছুল সরকার প্রতি মাসে দোকানিদের কাছ থেকে ভাড়া নেন।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুজ্জামান বলেন, কোনো অবস্থাতেই ব্যক্তিমালিকানায় এবং ইচ্ছামতো যেখানে-সেখানে হাটবাজার বসানো যায় না। এ বাজারগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। তিনি ইতোমধ্যেই একাধিক এমন বাজার থেকে সরকারি খাস কালেকশনের বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছেন।
"