রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি

  ২০ মে, ২০১৮

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি হাটের জায়গা দখলের অভিযোগ

নওগাঁর রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ওরফে বেলালের বিরুদ্ধে কোটি টাকা মূল্যের সরকারি হাটের জায়গা দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে সম্প্রতি ৪৬ জন স্থানীয় বাসিন্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এদিকে, অভিযোগ করার বেশ কয়েক দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি জায়গা দখলকারী প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ওরফে বেলাল নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে।

জানা গেছে, উপজেলা সদরের খাদ্যগুদামসংলগ্ন স্থানে বালুভরা মৌজার ১৯২০ সালের রেকর্ডে ৫০ শতাংশ হাটের জায়গা ছিল। সেখানে সপ্তাহের বৃহস্পতি ও রোববার দুই দিন হাটবার ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ১৯৬২ সালের রেকর্ডে ওই দাগে ৪৬ শতাংশ ও ১৯৭২ সালের রেকর্ডে ৪৫ শতাংশ জায়গা ওই শিক্ষকের পিতা অবৈধভাবে নিজ নামে রেকর্ড করে নেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। জায়গাটি নিজ নামে নেওয়ার পর শিক্ষকের পিতা জমির উত্তর দিকে ও পূর্ব দিকে বাড়ি নির্মাণ করেন। সম্প্রতি আবুল কালাম আজাদ ওরফে বেলাল জমির দক্ষিণ দিকে নতুন করে ইটের প্রাচীর দিয়ে পুরো জায়গা অবৈধভাবে দখল করার চেষ্টা করছেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ছাড়াও ১৯২০ সালের রেকর্ডের সরকারি হাটের জায়গা তাদের নিজের নামে দলিল ছাড়া কীভাবে রেকর্ড হয়, তা নিয়েও জনমনে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। স্থানীয় বাসিন্দা আনছার আলী, রমজান আলী ও বকুল হোসেনসহ বেশ কয়েকজন অভিযোগকারী বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবত আবুল কালাম আজাদের পরিবার অবৈধভাবে ওই জায়গায় বাড়ি নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসার পরও আমরা কোনো বাধা দেইনি। কিন্তু আজাদ নতুন করে হাটের অবশিষ্ট জায়গা দখল করে প্রাচীর নির্মাণের সময় বিষয়টি প্রশাসনকে জানানোর পর প্রাচীর নির্মাণের কাজ বন্ধ করা হয়। কিন্তু রহস্যজনকভাবে প্রশাসন কীভাবে আবারও নির্মাণকাজের অনুমতি দেয়, তা জানা নেই।’

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ওরফে বেলাল বলেন, ‘স্থানীয়দের অভিযোগ মিথ্যা বরং রমজান নামে ওই ব্যক্তি অবৈধভাবে আমার জায়গায় বসবাস করে আসছে। আর প্রশাসন অনুমতি দিয়েছে বলেই আবারও কাজ শুরু করেছি।’

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান পিন্টু বলেন, এ বিষয়ে তার কাছে জমির কিছু পুরাতন কাগজপত্র এসেছে সেখানে ওই জমিটি হাটের জায়গা বলে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু ওই শিক্ষক কীভাবে হাটের জায়গাটি ভোগদখল করে আসছে, তা তার জানা নেই। তিনি আরো বলেন, ওই শিক্ষক, নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় কতিপয় নেতাকে ম্যানেজ করে পেশিশক্তির জোরে সরকারের কোটি টাকা মূল্যের জায়গা জবরদখল করছেন ওই শিক্ষক।

ইউএনও সোনিয়া বিনতে তাবিব বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন। অভিযোগ পাওয়ার পর ওই শিক্ষককে ওই জায়গায় প্রাচীর নির্মাণসহ কোনো ধরনের নতুন স্থাপনা নির্মাণ না করার জন্য নিষেধ করা হয়েছে। এর পরও যদি উনি প্রাচীর নির্মাণ করে থাকেন, তাহলে তদন্তসাপেক্ষে জায়গাটি সরকারি বলে গণ্য হলে সব স্থাপনা ভেঙে জায়গাটি দখলমুক্ত করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist