শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
কালভাট বন্ধ করে মাছ চাষ পানিবন্দি শতাধিক মানুষ
খাস জমি লিজ নিয়ে কালভাটের মুখ বন্ধ করে পানি প্রবাহের গতিপথে বাধা সৃষ্টি করছে এলাকার এক প্রভাবশালী। এতে ১০টি পরিবারের শতাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
উপজেলার ভুরবীর ইউনিয়নের ভীমসী গ্রামের বাসিন্দা ঝুন্ট রুদ্র পাল অভিযোগ করেন, গ্রামের বিনোদ পাল, বিমল পাল ও শ্যামল পাল ভুরবীর দশরথ উচ্চবিদ্যালয় ও লোকনাথ মন্দিরের নিকটবর্তী সরকারি মালিকাধীন ১/১ খতিয়ানভুক্ত খাস পুকুরে মাছ চাষ করছেন। ওই পুকুরের পাশে শ্রীমঙ্গল-মির্জাপুর-শমশেরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের উজানের পানি নিষ্কাশনের কালভাটের মুখ মাটি দিয়ে ভরাট করে বন্ধ করে দেন। এতে পানির স্বাভাবিক গতি প্রবাহ নিচের দিকে না গিয়ে উল্টো পানি উজানের দিকে ফুলে উঠছে। এ কারণে একদিকে রাস্তার উপর পানি জমে রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে, অন্যদিকে ভুরবীর দশরথ উচ্চ বিদ্যালয় কলেজ ও লোকনাথ মন্দিরসহ তাদের ঘরবাড়িতে পানি উঠে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে ১০টি পরিবারের শতাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ছেন। এ নিয়ে স্থানীয় বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানসহ অনেকের কাছেই বারবার ধরনা দিয়ে কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা। স্থানীয় চেয়ারম্যান ওই প্রভাবশালীদের পক্ষ নিয়ে ওই গতিপথের উল্টোদিকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার কথা বলে দিনের পর দিন বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
এদিকে গত ২৩ এপ্রিল মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন গ্রামবাসী। এর অনুলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এসিল্যান্ড ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শ্রীমঙ্গল থানা বরাবরে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিমল পাল কালভাটের মুখ বন্ধ করার কথা স্বীকার করে প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, তারা চেয়ারম্যানের নির্দেশ অনুয়ায়ী উজান দিকে পানি নিষ্কাশনের জন্য কয়েকটি রিং দিয়েছেন। প্রায় ৫৫ ফুটের মতো রিং বসিয়ে অভিযোগকারীসহ অন্যরা সহযোগিতা না করায় এর সমাধান হচ্ছে বলে তিনি জানান। স্থানীয় ইউপি সদস্য সুভাষ রায় ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করে বলছেন, কালভাটের মুখ ভরাট করায় ভুক্তভোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। উল্টোপথে উজান দিকে রিং দিয়ে যে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, সেটা দিয়েও তেমন কোনো উপকারে আসবে না।
"