শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে পুড়ে গেছে মৌসুমি ফল ও ফসল
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে গড়ে উঠেছে অর্ধ শতাধিক ইটভাটা। আর এসব ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে পুড়ে গেছে ইরি ধান ও মৌসুমি ফসল। গত বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে সুজাবাদ গ্রামে অবস্থিত ‘বদর ব্রিক্স’ ইটভাটার চুল্লির মুখ খুলে দেওয়ায় বিষাক্ত গ্যাসে পুড়ে গেছে প্রায় ১০ একর জমির পাকা ইরি ধান ও আশপাশের ফলের গাছসহ ফল। এতে ভুক্তভোগীদের নাভিশ^াস উঠলেও ইটভাটার মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে অনেকেই প্রকাশ্যে কথা বলতে ভয় পায় বলে জানান স্থানীরা। স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, ধান ঘরে তোলার পূর্ব মুহূর্তেই তাদের সব আশা ধুলিসাৎ হয়ে গেছে। তাদের প্রায় ১০ একর জমির পাকা ইরি ধান ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে পুড়ে গেছে। ইটভাটার মালিকরা ক্ষতি পূরণ দেবে কি না এ নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন তারা।
সুজাবাদ পশ্চিম পাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম বাবু জানান, বদর ইটভাটার কর্তৃপক্ষ হঠাৎ মধ্যরাতে ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাস ছেড়ে দেওয়ায় তার আম ও ডাব গাছের ডাল-পাতাসহ ফল পুড়ে গেছে। প্রায় ৪ বছর ধরে তারা গাছের কোনো ফল খেতে পারে না। বিষয়টি ইটভাটা মালিকদের বললেও তারা কর্ণপাত করেন না। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এসব অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে খুব দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
একই এলাকার শাহাদৎ হোসেন, মুনছুর আলী ফকির, জহুরুল ইসলাম, রওশন আরা, গোলেজা বেগম, রাবেয়া বেগমসহ আরো অনেকে জানিয়েছেন, তাদের বাড়িতে থাকা আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পেয়ারা ও ডাবের গাছের পাতাসহ ফল পুড়ে গেছে। তারা গরিব মানুষ তাদের ফল কিনে খাওয়ার সামর্থ্য নেই। কিন্তু ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসের কারণে কয়েক বছর যাবৎ ছেলেমেয়েদের নিয়ে গাছের ফল খেতে পারছেন না তারা। বদর বিক্স ইটভাটার পক্ষে ইটভাটার অংশীদার আবু জাফর বলেন, এরকম ঘটনা ঘটেই থাকে এর আগেও ঘটেছে। এটা শুধু আমাদের ক্ষেত্রেই না কম-বেশি সব ইটভাটাতেই হয়। শাজাহানপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. ফুয়ারা খাতুন জানান, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
"