এ আর রাশেদ, ইবি থেকে
বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্ভোগ
পানি সংকটে ইবি শিক্ষার্থীরা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পানি সংকট ও বিদ্যুৎ শুরু হয়েছে। বিশ^বিদ্যালয়ের কয়েকটি আবাসিক হলে বিভিন্ন সময়ে পানি সরবারহ বন্ধ এবং প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ^বিদ্যালয়ের বেগম খালেদা জিয়া হলসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও সাদ্দাম হোসেন হলের কয়েকটি ব্লকে প্রায়শ পানি সংকট দেখা দিচ্ছে। কয়েকদিন দিন যাবত এসব হলে পানি সরবরাহ ঠিকমত না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এনিয়ে তাদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, কয়েকদিন যাবত হলের আন্তর্জাতিক ব্লকে পানি সরবারহ ঠিকমত হচ্ছে না। বন্ধ থাকার পর পানি আসলেও তা ময়লাযুক্ত। যা ব্যবহারের জন্য অনুপোযোগী। আমরা এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যাতে সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়। এরমধ্যে বেগম খালেদা জিয়া হলে পানি সংকট তীব্র আকার ধারণ করায় গতকাল শনিবার বিশ^বিদ্যালয়ের প্রকৌশল অফিস ঘেরাও করে হলের আবাসিক ছাত্রীরা। পরে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রীদের আশ^স্ত করলে তারা সেখান থেকে চলে যান।
খালেদা জিয়া ছাত্রীরা জানান, হলে পানির সমস্যা নতুন নয়, আমরা অনেক আগে থেকেই হল প্রভোস্টকে (প্রাধ্যক্ষ) এ বিষয়ে জানিয়েছি। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। কয়েকদিন যাবত চার, পাঁচ তলা থেকে নেমে টিউবওয়েলের পানি নিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ করতে হচ্ছে। এরপরও কর্তৃপক্ষের কোন মাথাব্যথা নেই। এ নিয়ে খালেদা জিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অশোক কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘গত কয়েকদিন আগে হলে একটি পাম্প নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তারপর সেটা ঠিক করা হয়েছে। গতকাল থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় এ সমস্যা হয়েছে।’
এ দিকে পানি সংকটের পাশাপাশি বিশ^বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটও চরম আকার ধারণ করেছে। গ্রীষ্মের এই মাঝামাঝি সময়ে বিদ্যুতের লুকোচুরিতে প্রচ- গরমে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সমস্যা হচ্ছে, তেমনি বিদ্যুতের হঠাৎ যাওয়া আসায় শিক্ষার্থীদের কম্পিউটারসহ ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীও নষ্ট হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের তারিক, শুভ, নাঈম, হুরায়রা অভিযোগ করে বলেন, গ্রীষ্মের তাপদাহে অতিষ্ট সবাই। এর মধ্যে বিদ্যুৎ বারবার যাওয়া আসার কারণে আমাদের লেখাপড়ার মনোযোগ নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া মাঝ রাতে লোডশেডিং হলে গরমের জন্য রাতে ঘুমানো খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আলিমুজ্জামান টুটুল বলেন, ‘গত কয়েকদিক দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে ক্যাম্পাসেও বিদ্যুতের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়েপাওয়ার গ্রীডের কর্মকর্তাদের সাথে কথা হয়েছে। এছাড়া হলের জেনারেটর স্বাভাবিক করতেও কাজ চলছে। আশা করি এ সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।’
"