কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা
নিকলীতে তর্কা রোগে অর্ধ শতাধিক গবাদিপশুর মৃত্যু
কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের তর্কা রোগে আক্রান্ত হতে শুরু করেছে গবাদি পশু। ইতোমধ্যে অর্ধ শতাধিক গবাদি পশু এই রোগে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন গরুর মালিকেরা।
ক্ষতিগ্রস্থ কয়েকজন পশু মালিক অভিযোগ করেন, উপজেলা পশুসম্পদ কার্যালয়ে এ রোগের প্রতিষেধক নেই। তাদের কাছে গেলে শ্লিপ ধরিয়ে দিয়ে বলে, বাইরে থেকে কিনে নেন। তা ছাড়া পশু হাসপাতালের কোনো চিকিৎসক টাকা ছাড়া ঘটনাস্থলে আসতে চান না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা এ কথা জানান।
এলাকাবাসী ও পশুর মালিকরা জানান, গত তিন সপ্তাহ আগে নিকলীর সদর ইউনিয়ন ও দামপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে তর্কা রোগ দেখা দেয়। গত এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুক্রবার পর্যন্ত দুইটি ইউনিয়নের প্রায় অর্ধ শতাধিক গরু মারা গেছে। মালিকরা হলো ফুলমান হোসেন, উসমান মিয়া, মজলু মিয়া, হুমায়ুন মিয়া, হাসু মিয়া, জুহেল মিয়া, বাইশু মিয়া, আলী হোসেন, আলীমউদ্দিন মিয়া, আছির উদ্দিনসহ আরো কয়েকজনের। মৃত গরুগুলোর বেশির ভাগই দুগ্ধ ও মাংস উৎপাদনকারি একেকটি পশু মূল্যে প্রায় দুই লাখ টাকারও বেশি।
খামারি জুয়েল মিয়া (২৭) জানান, তর্কা রোগের প্রতিষেধক দেওয়ার পরও কোনো কাজ হচ্ছে না। একই গ্রামের মৃত বাইশু মিয়া (৩০) জানান, সম্পূর্ণ সুস্থ্য গরু হঠাৎ পেট ফুলে উঠছে। নাক দিয়ে রক্ত বেরুচ্ছে। ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হতে হতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। তার ২টি গরু মারা গেছে।
নিকলী উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মারা যাওয়া পশুর লক্ষণ শুনে তর্কা রোগে গরু গুলোর মৃত্যুর কারণ বলে জানান। তিনি আরো জানান, গবাদি পশুর জন্যে তর্কা একটি ভয়াবহ রোগ। ৬০-৭০ বছর পর্যন্ত এ রোগের জীবানু বেঁচে থাকে। মৃত পশুদের ৭-৮ ফুট মাটি গর্ত করে পুতে রাখতে তিনি খামারিদের পরামর্শ দেন। সরেজমিনে গিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে তিনি অফিসের চিকিৎসকদের নিদেশ দেন।
"