মো. রাজু খান, ঝালকাঠি
ঝালকাঠিতে কুকুরে কামড়ানোদের ভিড় ভ্যাকসিন শূন্য ৪ দিন
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে গত কয়েকদিনে বেড়েছে কুকুর কামড়ানো রোগীর সংখ্যা। কিন্তু হাসপাতালে ভ্যাকসিন না থাকায় রোগীদের বাইরের ফার্মেসি থেকে টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনতে হচ্ছে।
ঝালকাঠির শহরতলীর বাদলকাঠি এলাকার আব্দুল মান্নান তালুকদারের স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৪০) বাড়ির পাশের টিউবওয়েল থেকে বালতিতে করে পানি নিয়ে ঘরে ফিলছিলেন। এ সময় একটি কুকুর এসে তার ডান পায়ের গোড়ালিতে কামড় দেয়। গতকাল সোমবার নতুন গোরস্থান জামে মসজিদে ফজরের নামাজ পড়ে মধ্য চাঁদকাঠিস্থ বাসায় ফিরছিলো অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্য ফারুক (৬৭)। পিছন থেকে একটি কুকুর এসে বাম পায়ের গোড়ালিতে কামড় দেয়। এদিকে বিকনা এলাকার দিনমজুর সেলিম মৃধার শিশু পুত্র রাকিব (৮) বাড়ি থেকে স্কুলে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে তাকেও কামড়ায় কুকুর।
এরা প্রত্যেকে গিয়েছিলেন ঝালকাঠির সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভ্যাকসিন নিতে। সেখানে ভ্যাকসিন না থাকায় এক হাজার টাকা দিয়ে বাইরের ফার্মেসি থেকে ভ্যাকসিন কিনে আনতে হয় তারে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত ব্রাদার মনিন্দ্রনাথ জানান, কুকুরে অথবা বিষাক্ত প্রাণিতে কামড় দিলে র্যাবিস ভ্যাকসিন (হিউম্যান) পুষ করতে হয়। গত বৃহস্পতিবার থেকে হাসপাতালে কোন ভ্যাকসিন নেই। রোববার ও সোমবার অর্ধশতাধিক রোগী আসে বলে জানান তিনি।
সিভিল সার্জন ডা. শ্যামল কৃষ্ণ হাওলাদার জানান, ভ্যাকসিন শুন্যতা জানিয়ে চাহিদাপত্র দিয়ে ঢাকায় লোক পাঠানো হয়েছে। ভ্যাকসিন নিয়ে আসলেই সমস্যার সমাধান হবে।
"