রাকিবুল হাসান, বাকৃবি
অব্যবস্থাপনার কারণে প্রতি বছর নষ্ট হয় ৬ লাখ টন মাছ
মাছ আহরণের পরে সংরক্ষণের সঠিক ব্যবস্থাপনা অর্থনৈতিকভাবে মাছ চাষে লাভবান হওয়ার অন্যতম হাতিয়ার। কিন্তু দেশে মাছ আহরণের পরে সংরক্ষণের সঠিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে মৎস্যচাষিদের জ্ঞান নেই বললেই চলে। ফলে কম সময়েই পচে যাচ্ছে মাছ এবং অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মৎস্যচাষিরা। গতকাল সোমবার সকালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মৎস্যবিষয়ক এক কর্মশালায় মাৎস্যবিজ্ঞানীরা এসব কথা বলেন। মাছ সংরক্ষণের ব্যবস্থাপনা, প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধি এবং মাছের নিয়মিত খাদ্যে অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিডের প্রভাব বিষয়ে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
গবেষণা প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে কর্মশালায় জানানো হয়, মাছের সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে বছরে ৬ লাখ মেট্রিক টন মাছ নষ্ট হয়। এতে প্রতি বছর ক্ষতি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে চাহিদার তুলনায় দেশে মাছের উৎপাদন বেশি হওয়ায় বাজারে মাছের ন্যায্যমূল্যে পাচ্ছে না মৎস্যচাষিরা। এজন্য মাছ সংরক্ষণ করে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে মাছের বহু ব্যবহার বাড়ানোর পাশাপাশি বিদেশে রফতানির করলেই অর্থনৈতিকভাবে লাভবান সম্ভব। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) অর্থায়ানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে ওই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় সাদুপানির মাছ ধরার পরবর্তী করণীয় ও প্রক্রিয়াজাত করে মাছের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. এ কে এম নওশাদ আলম। তিনি বলেন, ‘মৎস্যচাষী , মাছের আড়ৎদার, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের ভোক্তা পর্যায়ে ভেজালমুক্ত টাটকা মাছ সরবরাহে সংরক্ষণের সঠিক ব্যবস্থাপনা করতে হবে।’ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) পরিচালক প্রফেসর ড. এম এম ইয়াহিয়া খন্দকারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বাকৃবির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যপক ড. মো জসিমউদ্দিন খান, সম্মানিত অতিথি হিসেবে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. ওয়াইস কবির এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রফেসর ড. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ড. মো. মোশাররফ হোসেন ও ড. মো. নুরুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও মৎস্য বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর মো. মিজানুর রহমানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শতাধিক শিক্ষক, গবেষক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
"