ফারুক খান, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী)
সরেজমিন প্রতিবেদন
মির্জাগঞ্জের মালিবাড়ি খাল দখল করে বাসাবাড়ি
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মালিবাড়ির খাল এখন প্রভাবশালীদের দখলে। খালের অধিকাংশ এলাকা ভরাট করে পাকা বাড়ি, দোকানসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে খালে যেমন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়, তেমনি শুকনো মৌসুমে কৃষি জমি সেচের অভাবে অনাবাদি থেকে যায় জমি।
ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৩২ ফুট প্রস্থ মালিবাড়ি খাল দিয়ে এক সময়ে নৌকা চলত। ব্যবসায়ীরা বড় বড় নৌকায় মালামাল আনা নেওয়া করত। এর পানি সেচকাজে ব্যবহার করে কয়েক হাজার একর জমিতে চাষাবাদ হত।
সরেজমিনে দেখা যায়, সুবিদখালী আরকে বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে খাল ভরাট করে যে যার মতো ঘরবাড়ি নির্মাণ করেছেন। খালের অধিকাংশ জায়গা ভরাট করে আব্দুস সালাম হাওলাদার, হাবিবুর রহমান, গফ্ফার মিয়া, মাসুম, শহিদ পাকা ঘরবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছেন। এ ছাড়াও ওই বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে রয়েছে হাবিবুর রহমানেরসহ অন্তত ৮ জনের ঘর। এমন কি পটুয়াখালী ভূমি অফিসের মো. ফোরকান তহশিলদারও খালের বিভিন্ন অংশ ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন।
দখলদার আব্দুস সালাম হাওলাদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার সম্পত্তির মধ্যে কিছুটা খালের অংশ থাকতে পারে। অন্য এক দখলদার মো. ফোরকান তহশিলদার বলেন, খালটি এমনিতেই ভরাট হয়ে গেছে। তাই আমি কিছু ঘর করেছি।
সুবিদখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ হাওলাদার বলেন, খালটি অবৈধ দখলদাররা অনেকাংশ ভরাট করে নিয়ে ভোগ দখল করছে। এ কারণে খালটি দিয়ে পানিও নিষ্কাশন হয় না। ফলে বর্ষা মৌসুমে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
মির্জাগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ইউএনও শাহ্ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা উচ্ছেদ করে খালটির পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
"