রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

  ২২ এপ্রিল, ২০১৮

উপকূলে তরমুজ উৎসব

যেখানে চোখ যাবে, সেখানেই তরমুজ। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে শুধুই তরমুজ। ভরা মৌসুম চলায় পরিচর্যা, কাটা, পরিবহন ও বাজারজাত করা নিয়ে চাষিদের ব্যস্ততা। এ কারণে ক্ষেত, পথঘাট, ট্রলার কিংবা লঞ্চে যত্রযত্র তরমুজ। যথা সময়ে ভোক্তার হাতে তুলে দিতেই চলছে তরমুজ নিয়ে এ ছুটোছুটি। চাষিদের পাশাপাশি এ কাজে পরিবারের সদস্যরাও সামিল হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলে মৌসুমী ফল তরমুজ আবাদে অন্যতম এলাকা হিসেবে সুপরিচিত উপকূলের পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সর্বত্রই এ চিত্র। পরিবেশ অনুকূলে থাকায় এখানকার তরমুজের গুণগতমান ভালো হওয়ায় দেশজুড়ে সুনাম কুড়িয়েছে। ফলে এ এলাকার তরমুজের চাহিদাও দিনদিন বাড়ছে। তাই এখানকার প্রধান অর্থকরী ফসলের জায়গা দখল করে নিয়েছে তরমুজ। এখন এ তরমুজ নিয়েই চাষিরা স্বপ্ন পূরণের আশা বুকে বাঁধে। উপজেলার কাজির হাওলা গ্রামের তরমুজ চাষি আব্দুল করিম হাওলাদার বলেন, ‘রাঙ্গাবালীর তরমুজ খেতে সুস্বাদু, আকাড় বড় ও রং লাল টুকটুকে হওয়ায় রাজধানী ঢাকার ক্রেতাদের কাছে খুবই পরিচিতি লাভ করেছে। এ কারণেই এখানকার তরমুজের চাহিদা বেশি। কদর বেশি থাকায় এখানকার মানুষের প্রধান অর্থকরী ফসল এখন তরমুজ। অনেক চাষি বছরে কেবল তরমুজ আবাদ করেই জীবিকা নির্বাহ করার স্বপ্ন দেখে।’ সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার খালগোড়া ঘাট, কোড়ালিয়া লঞ্চঘাট, বাহেরচর ঘাট, চরইমারশন ঘাট, গহিনখালী, কাজির হাওলা ঘাটসহ সর্বত্রই তরমুজের ছড়াছড়ি। কেউ ট্রলি থেকে তরমুজ নামিয়ে ঘাটে স্তুপ করছে। কেউবা ঘাট থেকে লঞ্চ কিংবা ট্রলার বোঝাই করে তরমুজ উঠাচ্ছে। আবার বাজারজাত করতে ওইসব তরমুজ নৌযান বোঝাই করে প্রতিদিন উপজেলার আগুনমুখা, বুড়াগৌরাঙ্গ, দারচিরা এবং রামনাবাদ নদী হয়ে ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, চাঁদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী ও ভোলার অভিমুখে যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি তরমুজ মৌসুমে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে প্রায় ৫ হাজার চাষি তরমুজ আবাদ করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রতি হেক্টরে ৩৫ মেট্রিকটন হারে ২ লক্ষ ৯৭ হাজার ৫শ’ মেট্রেকটন ফলন উৎপাদন হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) আব্দুল মান্নান বলেন, ‘রাঙ্গাবালীর জমি তরমুজ আবাদে উপযোগী। একারণে ফলন ভালো হওয়ায় চাষিদের তরমুজ আবাদে আগ্রহ বাড়ছে। এবার তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন আরও ভালো হলে প্রতি হেক্টরে ৪০-৪৫ মেট্রিকটন তরমুজ উৎপাদন হবে বলে আশা রাখি।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist