নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
দুর্ভোগের আরেক নাম বান্দুরা সেতু!
ঢাকার নবাবগঞ্জের পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ভোগান্তির নাম বান্দুরা সেতু। উপজেলার বান্দুরা, নয়নশ্রী, জয়কৃষ্ণপুর, বারুয়াখালী ও শিকারীপাড়া এই পাঁচটি ইউনিয়নের মানুষদের জন্য সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেতু পার হতে গিয়ে যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হয় যাত্রীদের। সেতুটি প্রস্তে সরু হওয়ায় যানজটের কারণ বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, নবাবগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচটি ইউনিয়ন ছাড়াও পার্শ¦বর্তী মানিকগঞ্জ জেলার কয়েক হাজার মানুষ সেতুটির ওপর নির্ভরশীল। শিক্ষা, ব্যবসা ও চিকিৎসাসহ নানা কাজে পশ্চিমাঞ্চলের লোকজনকে নবাবগঞ্জ সদর ও ঢাকা প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতে হয়। এ জন্য তাদের ব্যবহার করতে হয় এই বান্দুরা নামক সেতুটি। অথচ সেতুটির কারণে এসব এলাকার মানুষের ভোগান্তির অন্ত নেই। সবার ধারণা ছিল সেতুটি নির্মাণে ফলে মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। তবে অপরিকল্পিতভাবে সেতুটি নির্মাণ করায় দুর্ভোগ আরো বেড়ে গেছে। কয়েক বছর আগে সেতুর ওপর ট্রাকচাপায় মারা যান নতুন বান্দুরা গ্রামের সোনা মিয়া। এছাড়া প্রতিনিয়ত আহত হচ্ছে পথচারীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সেতুটির নানা অসংগতি, বিশেষ করে সেতুটি তুলনামূলকভাবে অনেক সরু। সেতুটির এপার-ওপার লম্বা গাড়ির লাইন। যানজট যেন এখানকার প্রতিদিনের সঙ্গী। দুইটি গাড়ি একসঙ্গে এই সেতুটি দিয়ে পারাপারের চেষ্টা করলেই বেঁধে যায় যানজট। ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়িগুলো আটকে থাকে সেতুটির ওপর। এর ফলে হেঁটেও লোকজন যাতায়াত করতে পারে না। তখন সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ে স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীরা।
বান্দুরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হিল্লাল মিয়া বলেন, সেতুর পূর্ব প¦ার্শে অটোগাড়ির স্ট্যান্ড করায় এবং সেতুর ওপর গাড়ি থামিয়ে টাকা তোলার ফলে যানবাহন চলাচলে বাধাগ্রস্ত হয়ে সৃষ্টি হয় যানজটের। এছাড়া সেতুটির প্রস্ত কম, যার ফলে একসঙ্গে দুটি গাড়ি পারাপার হতে পারছে না। অতি শিগগিরই এই স্থানে আরেকটি নতুন সেতু নির্মাণের দাবিও জানান তিনি।
বান্দুরা হলিক্রস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন বলেন, আমাকে প্রতিদিন বান্দুরা সেতুটি পার হয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু বেশির ভাগ সময় সেতুটিতে যানজট লেগেই থাকে। যানজটের সময় হেঁটেও সেতুটি পার হওয়া যায় না। তাই প্রায় দিনই সময়মতো স্কুলে যেতে পারি না।
নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহজাহান বলেন, বান্দুরা ইছামতি নদীর ওপর যে সেতু রয়েছে সেটা আরো প্রশস্ত করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রকল্প পাঠিয়েছি। আশা করি, শিগগিরই কাজ শুরু হবে। এ বিষয়ে ঢাকা-১ আসনের এমপি সালমা ইসলাম বলেন, সেতুটি ভেঙে নতুন একটি সেতু তৈরির চেষ্টা চলছে।
"