শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
শেখ রাসেলের নামে শাজাহানপুরে লটারি!
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের শহীদ শিশুপুত্র ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোটভাই শেখ রাসেলের নাম ব্যবহার করে বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলায় চলছে লটারি-জুয়া। উপজেলার ডেমাজানি এলাকায় ডেমাজানি জনকল্যাণ সমিতি ‘শেখ রাসেল স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০১৮’ উপলক্ষে ‘সবুজ র্যাফেল ড্র’ নামে এই জুয়ার আয়োজন করেছে। এক দিকে জুয়ার লটারি, অপর দিকে ‘শেখ রাসেল’র নাম ব্যবহারের ফলে সরকার ও আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করলেও, কিন্তু এ ব্যাপারে নিরবতা পালন করছেন স্থানীয় প্রশাসন, আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলো। অভিযোগ আছে, জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এই জুয়া আয়োজন করেছেন। সরেজমিনে জানা যায়, গত ২৪ মাছ থেকে প্রতিদিন উপজেলার প্রায় সব গ্রাম, বাজার ও স্ট্যান্ডে মাইকিং করে চলছে ২০ টাকা মূল্যে লটারি বিক্রি। সপ্তাহে শুক্রবার একটি ফুটবল ম্যাচ কেন্দ্র করে বাকী দিনগুলো চলে লটারি বিক্রির।
উপজেলা আ.লীগ সম্পাদক তালেবুল ইসলাম তালেব জানান, এ বিষয়ে তার কিছু বলার নেই। ওখানে জেলার নেতারা আছেন। আয়োজক কমিটি বলতে পারবে। উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ভিপি সুলতান আহম্মেদ জানান, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুর রহমান দুলু এটি চালাচ্ছেন। তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কথা বলছেন না কেউ। মূলদল বা অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কাউকে সঙ্গে নিয়েও করছেন না তিনি।
নাম না প্রকাশের শর্তে আ.লীগের একাধিক নেতা, এলাকাবাসি এবং জন প্রতিনিধিরা জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সন্তান ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ছোট ভাইয়ের নাম জুয়ার লটারিতে ব্যবহার করা জঘন্য অন্যায়। কিন্তু জড়িতরা এতটাই ক্ষমতাশালী যে, এই ঘটনার প্রতিবাদ করার সাহস নেই। তারা অভিযোগ করেন, প্রশাসন সহযোগীতা না করলে এটা বাস্তবায়ন সম্ভব হতো না। এখানে প্রতিদিন জুয়ায় অংশগ্রহন করে সরল ও দরিদ্র মানুষগুলো আরো নিঃস্ব হচ্ছে।
বিষয়ে কথা বলতে ডেমাজানি জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি ও লটারির আয়োজক জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুর রহমান দুলুর ব্যক্তিগত মোবাইলে স্থানীয় প্রতিনিধি এবং প্রতিদিনের সংবাদ অফিস থেকে একাধিকবার ফোন দিলেও তা রিসিভ করেননি। এমনকি ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও তার সাড়া পাওয়া যায়নি। শাজাহানপুর ইউএনও মো. কামরুজ্জামান জানান, লটারি বন্ধে পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
"