মাজহারুল ইসলাম মিশু, হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ)
হালুয়াঘাট-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিড়ম্বনা
‘গাড়ির ঝাঁকুনিতে সিটে বসে থাকা কষ্টকর’
‘হালুয়াঘাটে ভাঙাচোড়া সড়কের কারণে গাড়ির ঝাঁকুনিতে সিটে বসে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়ে। এতে যাত্রীদের ভীষণ কষ্ট হয়। সড়কটি সংস্কার করা হলে এই কষ্ট থেকে যাত্রীরা রেহায় পাবেন।’ এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন হালুয়াঘাট-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাসযাত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। ১০ কিলোমিটার দূরত্বের এই মহাসড়কের বেশিরভাগ অংশে খানাখন্দের কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন চলাচলকারী মানুষ। সড়কের বিভিন্ন অংশে পাথর, খোয়া ও বালি উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন এই সড়কে হালুয়াঘাট উপজেলার থেকে হাজারো যানবাহন ময়মনসিংহ হয়ে রাজধানীতে চলাচল করে। এছাড়া উপজেলার দুই স্থলবন্দর থেকে কয়লাবাহী শতাধিক ট্রাক চলাচল করে।
স্থানীয় বাসিন্দা, গাড়িচালক, যাত্রী এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হালুয়াঘাট পৌর শহরের শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজ সড়ক থেকে উপজেলার দর্শাপাড়, গাঙ্গিনাপাড়, ইটাখোলা, ধারা বাজার, নাগলা বাজার পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার প্রধান সড়কের বেশিরভাগ অংশ ভেঙে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। শুধু সড়কের পিস নয়, অনেক অংশে পাথর, খোয়া ও বালি উঠে গেছে। এ অবস্থা বছরখানেক ধরে। কিন্তু সংস্কার না হওয়ায় ভোগান্তি নিয়েই এলাকাবাসী চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন। ধারা বাজারের ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বলেন, সওজ বিভাগের লোকজন মাঝে মাঝে সড়কটির কিছু স্থানে রিপেয়ারিং করেছে। কিন্তু হালুয়াঘাট শহর থেকে নাগলা পর্যন্ত খানাখন্দে এই পথে চলাচলকারীরা নিদারুণ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। স্কুলশিক্ষক মো. রতন মিয়া বলেন, প্রতিদিন এই সড়কে ভাঙা অংশে দিয়ে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। বৃষ্টি হলে গর্তগুলো পানিতে ভরে যায়। ফলে গর্তগুলো বোঝার উপায় থাকে না। তাই প্রতিনিয়ত ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে। ইমাম পরিবহনের চালক মারুফ বলেন, ১০ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন অংশে ভাঙাচোড়া। এতে খুব সাবধানে গাড়ি নিয়ে চলাচল করতে হয়। ১০ মিনিটের সময়ের জায়গায় ৩০ মিনিট সময় লাগে। ঝাঁকুনির কারণে যাত্রীরাও বিরক্ত বোধ করেন। জানতে চাইলে ফুলপুর সওজ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আজহারুল ইসলাম বলেন, ফুলপুর উপজেলা থেকে হালুয়াঘাট উপজেলা গোবরাকুড়া পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার সড়কের প্রস্তাবনা এ মাসে একনেকে পাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও হালুয়াঘাট প্রধান সড়কের বিভিন্ন অংশে রিপেয়ারিং করা হয়েছে। এছাড়া ভাঙা অংশে আপাদত চলাচলের উপযোগী করতে দ্রুত রিপেয়ারিং করা হবে।
"