পিরোজপুর প্রতিনিধি
ইন্দুরকানিতে উদাহরণ দুই ভাইয়ের ডেইরি ফার্ম
গ্রামীণ সংস্কার আর প্রতিবন্ধকতাকে পেছনে ফেলে ডেইরি ফার্ম করে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন পিরোজপুরের ইঁন্দুরকানী উপজেলার দুই ভাই মো. বেল্লাল হোসেন হাওলাদার ও ইসহাক হাওলাদার। উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের আশরাফ আলীর দুই ছেলের অদম্য পরিশ্রমে অর্জিত সফল্যে আশার আলো দেখছেন স্থানীয় বেকার যুবকরা। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বেড়ে ওঠা আশরাফ আলী বড়ছেলে বেল্লাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ক্ষেত-খামারী করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এক সময় অভাবের সংসারে সচ্ছলতা আনতে ছোট ভাই ইসহাক হাওলাদারকে সাথে নিয়ে উদ্যোগ নেন ডেইরি ফার্ম করার। অর্থ-বিত্তে স্বাবলম্বী আত্মীয়-স্বজন, মেঝ ভাই রিয়াজুল ইসলাম ও পিরোজপুর কৃষি ব্যাংক তাদের সার্বিক সহয়তায় করেন। ২০১৫ সালে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে মাত্র ৬টি গরু নিয়ে ডেইরি ফার্ম শুরু করেন দুই ভাই। মাত্র ৩ বছরের ব্যবধানে জেলার অন্যতম ডেইরি ফার্মের মালিক তারা। কৃতজ্ঞতা স্বরূপ মেঝ ভাইয়ের একমাত্র ছেলের নামেই রেখেছেন ‘রাফি ডেইরি ফার্ম’। ব্যাংক কর্মকর্তা ও পশু চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা যায়।
ফার্মে কর্মরত শ্রমিকরা জানান, বর্তমানে তাদের ফার্মে ফ্রিজিয়ান জাতের ১০টি, অস্টিলিয়ান জাতের ৫টি, দেশি ৩টি, ১০টি বাছুর ও ১০টি বিভিন্ন জাতের ষাড় রয়েছে। এই ফার্মে প্রতিদিন প্রায় ৭০ কেজি লিটার দুধ উৎপাদন হয়। যা তিনি আশপাশের হাট বাজারে বিক্রি করে প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার টাকা উর্পাজন করছেন।
বেল্লাল হাওলাদার জানান, প্রতিদিন ফযরের নামাজ পড়ে তিনি ও তার ভাই ফার্মে ঢুকেন। নিজে থেকে সব কাজের তদারকি করেন। কীভাবে আরো ভালভাবে গরুর যতœ নেওয়া যায় সে ব্যাপারে স্থানীয় পশু চিকিৎসকদের সাথে সব সময় যোগাযোগ রাখেন। তিনি আরো বলেন, ব্যাংক আরো লোন নিয়ে ফার্মটি বড় করতে চান। পাশাপাশি দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনকারী বড় কোম্পানীগুলোর সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
লেনদেনে প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের চন্দ্রিপুর শাখা কৃষি ব্যাংক শাখার ম্যানেজার কাজী আব্দুল কুদ্দুস বলেন, তাদের মতো উদ্যোক্তারা কৃষি ঋণ ব্যবহার করে সাফল্যে উদাহরণ তৈরি করেছেন। গরু মোটাতাজাকরণে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার না করার কথা উল্লেখ করে ফার্মের নির্ধারিত পশু চিকিৎসক (ভ্রাম্যমান) গৌতম কুমার পাল বলেন, গরুর যতেœ দুইভাই সমাজ সচেষ্ট থাকায় রোগবালাই কম থাকে।
"