শেখ মো. ফুয়াদ, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহের ত্রিশাল-ফুলবাড়ীয়া সড়ক
সড়ক নয় যেন ভাগাড়!
পিচঢালা সড়ক মসৃণ হলে যেমন দ্রুত ও সহজ যাতায়ত সম্ভব। কিন্তু ভাগাড়ে পরিণত ভাঙা রাস্তায় ভোগান্তির শেষ নেই। এমনি দুরাবস্থা ময়মনসিংহের ত্রিশাল ও ফুলবাড়িয়া উপজেলার সংযোগ সড়কের।
ত্রিশাল উপজেলার বৈলর মোড় থেকে ফুলবাড়িয়া উপজেলা সদরের দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। এই সড়ক সংস্কার ও রক্ষাণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)। সড়কটির প্রায় ছয় কিলোমিটার ত্রিশাল উপজেলার অংশে পড়েছে। এই ছয় কিলোমিটার সড়কে অসংখ্য খানাখন্দে পানি জমে এমনই খারাপ অবস্থা হয়েছে যে এটি সড়ক তাই বোঝার উপায় নেই। সড়কটি ভাগাড়ে রূপ নিয়েছে।
সরেজমিন সড়কটি ঘুরে দেখা গেছে, ছয় কিলোমিটার সড়কে খানাখন্দ ছাড়া ভালো অংশের পরিমাণ খুবই কম। ত্রিশাল ও ফুলবাড়িয়া উপজেলার মানুষ চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছেন। অঞ্চলটিতে মৎস্য খামারের সংখ্যা বেশি হওয়ায় মাছবাহী ট্রাক প্রায়ই আটকে যায় সড়কে সৃষ্ট গর্তে। সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ অন্য যাত্রী ও পণ্যবাহী যানগুলোকেও চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। খানাখন্দে যানবাহন আটকে যাওয়া হাঁটু সমান কাঁদায় নেমে যানবাহন ঠেলে তুলতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির ওই অবস্থায় বিদ্যমান থাকলেও এটি সংস্কারে কর্তৃপক্ষ উদাসীন।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, অঞ্চলটিকে মৎস্য খামারের সংখ্যা বেশি। আর অধিকাংশ মৎস্য খামার করা হয়েছে অপরিকল্পিতভাবে। পুকুরের পাড় হিসেবে সড়ককে ব্যবহার করায় সড়ক দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এ সড়কের অবস্থা ভাগাড়ের মতো হয়েছে।
ত্রিশাল উপজেলা প্রকৌশলী শাহেদ হোসেন বলেন, সড়কটি দিয়ে ছয় টনের বেশি ওজনের যানবাহন চলা নিষেধ থাকলেও বেশির ভাগই ২৫ থেকে ৩০ টন পর্যন্ত ভার বহন করে। ফলে সড়কটি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, সড়কটি মজবুত করে নির্মাণের প্রস্তাব পাস হয়েছে। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে নির্মাণকাজ শুরু করতে কিছু সময় লাগতে পারে।
"