বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
বালিয়াডাঙ্গীতে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যকে ‘পেটাল’ প্রধান শিক্ষক
কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীর চৌরঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য দবিরুল ইসলামকে মারধর করেছেন প্রধান শিক্ষক ফিরোজ জামান। গতকাল মঙ্গলবার বালিয়াডাঙ্গী রিপোর্টার্স ইউনিটি হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে দবিরুল এ অভিযোগ করেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক। দবিরুল ইসলাম উপজেলা সনগাঁও গ্রামের পশির উদ্দীনের ছেলে। এ বিষয়ে বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, বালিয়াডাঙ্গী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দবিরুল ইসলাম জানান, ম্যানেজিং কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোপনে ১২ ফেব্রুয়ারি তফশিল ঘোষণা করেন। মনোনয়ন ক্রয়ের শেষ সময় ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে আমিসহ চারজন মনোনয়নপত্র ক্রয় করলেও প্রধান শিক্ষক পাঁচজন অভিভাবক সদস্যে মনোনয়ন ক্রয় দেখিয়ে গোপনে তার বাবা খতিবর রহমানকে সভাপতি নির্বাচিত করেন।
তিনি জানান, নিয়ম অনুযায়ী, সকলের উপস্থিতিতে সবার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়েছে এমন কথা রেজুলেশন বইতে উল্লেখ করে গত ১৮ মার্চ আমার স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য তার দোকানে পিয়ন পাঠায়। তিনি তাতে স্বাক্ষর না করে ফেরত পাঠালে প্রধান শিক্ষক ফোনে গালিগালাজ ও মারধরের হুমকি দেন। ওই দিন দুপুরে প্রধান শিক্ষক, স্কুলের সভাপতি খতিবর রহমান, কম্পিউটার শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ও আলমগীর তার দোকানে গিয়ে গালিগালাজ করেন। এ সময় প্রধান শিক্ষক মারধর করে রেজুলেশন বইতে স্বাক্ষর করে নেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
নিয়ম অনুযায়ী, কমিটি গঠন হয়েছে দাবি করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রহমান বলেন, কমিটি সংক্রান্ত বিষয়ে অভিভাবক সদস্য একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিভাবক সদস্যের সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের এমন খারাপ আচরণের বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইল ফোনে প্রধান শিক্ষক জানান, অভিভাবক সদস্যকে মারধর করা হয়নি। আর নিয়ম অনুযায়ী, ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবক সদস্যের সঙ্গে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তিসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
"