ফরাজী মো. ইমরান, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
কুয়াকাটায় যত্রতত্র পার্কিং ঘটছে দুর্ঘটনা
কুয়াকাটায় নেই কোন নির্দিষ্ট বাস টার্মিনাল। যার কারণে সৈকতে যাওয়ার সড়ক জুড়ে এলোমেলো পার্কিং করা হচ্ছে পর্যটকবাহী পরিবহনগুলো। ফলে স্বাভাবিক চলাচলে বিড়াম্বনা ছাড়াও প্রায়ই ছোটখাট দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পর্যটকসহ স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নির্দিষ্ট কোনো বাস টার্মিনাল না থাকায় কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে একটু উত্তরে কুয়াকাটা গেস্ট হাউসের পাশে রাস্তার উপরে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী বাস টার্মিনাল। সেখানে রাস্তার মাঝে এলোপাতারি পার্কিং করে রাখা হচ্ছে বাস। হরহামেশা সড়কের মাঝেই ঘুরানো হচ্ছে বাসগুলো। অনবরত বাজানো হচ্ছে হর্ন। আর এ শব্দ দূষণে চরম বিরক্তিতে পড়ছে পর্যটকরা। অনেক সময় পর্যটকরা পরিবহন থেকে তাড়াহুড়া করে নামতে গিয়ে প্রায়ই ছোটখাট দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এছাড়া অস্থায়ী বাস টার্মিনালের পাশেই রয়েছে লতাচাপলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়। স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে যেতে হয় এই সড়ক দিয়েই। ফলে শিক্ষার্থীরাও প্রায়শই পড়ছেন দুর্ঘটনার কবলে। তবে জরুরি ভিক্তিতে কুয়াকাটায় নির্দিষ্ট বাস টার্মিনাল নির্মাণের দাবি করেছেন শিক্ষার্থীসহ পর্যটকরা। কুয়াকাটায় আসা নারায়ণগঞ্জ এলাকার ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম জানান, রাস্তার উপর বাস থামালে বাধ্য হয়ে রাস্তায়ই পরিবার পরিজনসহ নেমে পড়ি। ওইখান থেকে হোটেলে যেতে হয়েছে। এভাবে রাস্তার উপর বাসগুলো থামানো খুবই বিপদজ্জনক। এতে অনেক ঝুঁকি থাকে। আমাদেরকে বাস থেকে ঝুঁকি নিয়ে নামতে হয়েছে। লতাচাপলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষার্থী লিমন জানান, এখানে বাসগুলো পার্কিং করে রাখায় স্কুলে যেতে আমাদের অনেক ভয় লাগে। এছাড়া যেকোন সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারি।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সিনিয়র এএসপি জহিরুল ইসলাম জানান, বাসস্ট্যান্ডের অভাবে এলোমেলো বাসগুলো রাখা হয়। এসব বাসের কারণে গত ছয় মাসে অন্তত ছোট-বড় ২০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। যদিও কারো প্রাণহানী হয়নি। কোন মতে দুর্ঘটনা কাম্য নয়, এবং সড়কে শৃঙ্খলা আনতে আমরা গাড়িগুলো ঠিকমত পাকং করানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। কুয়াকাটা পৌর মেয়র আব্দুল বারেক মোল্লা জানান, বাসস্ট্যান্ডের টাকা বরাদ্ধ পেয়েছি। তুলাতলিতে বাসস্ট্যান্ডের জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। সাত একর জমি অধিগ্রহণ করে বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ করা হবে। আশা করছি দুই-এক মাসের মধ্যে টেন্ডার হয়ে যাবে।
"