মাদারগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
মাদারগঞ্জে যত্রতত্র পুকুর খনন বিপর্যয়ের মুখে ফসলি জমি
জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় সরকারি বিধি-নিষেধ তোয়াক্কা না করেই কৃষি জমিতে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে। এক শ্রেণির কৃষকরা পুকুর ব্যবসায়ী ও ইটভাটার মালিকদের লোভনীয় অফারের ফাঁদে পড়ে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করছে। উপজেলার দুই বা তিন ফসলি জমিতে পুকুর খননে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভেকু মেশিন দিয়ে চলছে খননের মহাৎসব। আর পুকুর খননের টপসয়েল চলে যাচ্ছে ইটের ভাটায়। যত্রতত্র ফসলি জমিতে পুকুর খননের ফলে দিনদিন কমে যাচ্ছে ফসলি জমি। এসব জমিগুলো দেখে মনে হচ্ছে এ যেন উন্মুক্ত জলাশয়। ভূমি আইনের নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনরুপ অনমোদন ছাড়ায় ফসলি জমিতে অবাদে পুকুর খননে নেই কারো নজরদারি। কৃষি জমিতে পুকুর খননে বিপর্যয়ের মুুখে পড়েছে ফসলি জমি।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় প্রায় অর্ধশতাধিক পুকুর খনন করা হয়েছে। এ পুকুরগুলো ধানী জমি, বসতবাড়ি ও রাস্তার পাশে দিয়ে খনন করা হচ্ছে। ফসলি জমিতে পুকুুর খননের ফলে অন্য জমিতে ফাটলসহ নানান সমস্যা দেখা দিয়েছে।
জোনাইল গ্রামের বাসিন্দা কাদের ও খলিলসহ কয়েকজন জানান, পাশের জমিতে পুকুর খননে আমাদের উচু জমি থেকে পুকুরে পানি নেমে যায়। সীমানা আইল ভেঙে হেরফের হয়ে যায়। আর বর্ষা মৌসুমে ফসলি জমি গুলো পুকুর গর্ভে বিলিন হয়ে আশষ্কা রয়েছে। এ প্রবণতা চলতে থাকলে দেশের খাদ্য ঘাটতিতে প্রভাব পড়বে এমন আশষ্কা স্থানীয় কৃষকদের। ভবিষ্যতে কৃষি জমিতে যেন পুুকুর খনন না করা হয় এ বিষয়ে প্রশাসনের আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ তানভির আহম্মেদ জানান, পুকুর খননের সবচেয়ে ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া হল জলাবদ্ধতা। ফসলি জমির মাটি কেটে পুকুর খনন করায় জমি হ্রাস পাচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলাম প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, ফসলি জমিতে পুকুর খনন আইনগতভাবে নিষিদ্ধ।
"