উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
উলিপুরে ১০ টাকা কেজির চাল বিক্রিতে ‘নয়ছয়’
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নে ১০ টাকা কেজি দরের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০ কেজির চালের বস্তা প্রতি ২০ টাকা বেশি নিয়ে সুবিধাভোগীদের কাছে করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে আব্বাস আলী নামে এক ডিলারের বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ নি¤œমানের চাল রি-প্যাকিং করে ওজনে কম দিচ্ছেন তিনি।
স্থানীয়দের কাছে শুনে গত মঙ্গলবার সরেজমিনে জানা গেছে, উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউপির তালিকাভূক্ত ডিলার আব্বাস আলী খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৫৫৯ জন সুবিধাভোগীর মার্চ মাসের নির্ধারিত বরাদ্দের চাল খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলন করে নিয়ে যান। ঐ ডিলার গোপনে উত্তোলনকৃত ‘উন্নতমানের’ চাল স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করে অতি নি¤œমানের চাল বুড়াবুড়ি বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মজুদ করে। এরপর গত রোববার রাতে এসব চাল ৩০ কেজির স্থলে ২৮ কেজি করে বস্তায় ভর্তি করে তার নিজস্ব সেলাই মেশিন দিয়ে বস্তার মুখ বন্ধ করে। গত সোমবার এসব চাল তালিকাভূক্ত সুবিধাভোগিদের মাঝে প্রতি বস্তা ৩০০ টাকার পরিবর্তে ৩২০ টাকা নিয়ে কিনতে বাধ্য করেন।
সুবিধাভোগী রেনোকা, মাসুদ, আইয়ুব আলী, আক্কাস আলী, রফিকুলের মা করিমন, শাহ আলমের স্ত্রী আলেনুরসহ আরো অনেকে ডিলারের উপস্থিতিতে এ দূর্নীতির বর্ননা দিলে ঐ ডিলার তাদের ভয়ভীতি দেখান। এসব উপকারভোগী অভিযোগ করে বলেন, ডিলার ইতিপূর্বেও তাদেরকে নি¤œ মানের চাল ও ওজনে কম দেন। চাল বিতরণকালে তদারকি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্যা হিল কাফি উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার বিরুদ্ধেও ডিলারের সাথে যোগসাজসের অভিযোগও করেন ওই সুবিধাভোগীরা। বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ছক্কু মিয়া ডিলারের জনপ্রতি ২০ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি তাকে নিষেধ করলেও সে শোনেনি। অভিযুক্ত ডিলার আব্বাস আলী এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। ইউএনও মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানার পর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছি।
"