আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রতারণা মামলায় সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ কারাগারে
বরগুনার আমতলী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মজিবুর রহমানকে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় গতকাল মঙ্গলবার জেলহাজতে প্রেরণ করেছে আদালত। পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম এ আদেশ দিয়েছেন। এ মামলার বাদী ইউসুফ মিয়ার পক্ষের আইনজীবী নাহিদ সুলতানা লাকি মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে ৭ এপ্রিল আমতলী ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করণের প্রজ্ঞাপন জারি হয়। ওই সময়ে কলেজ জাতীয়করণ হলেও শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ হয়নি। শিক্ষক ও কর্মচারীদের জাতীয়করণের কথা বলে ২০১৭ সালের শুরুতে অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান তাদের কাছ থেকে ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। কিন্তু অধ্যক্ষ উত্তোলনকৃত টাকা দিয়ে কোন কাজ করেনি বলে অভিযোগ শিক্ষক-কর্মচারীদের। তাদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ এ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ ঘটনায় অভিযোগ এনে আমতলী সরকারি কলেজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইউসুফ মিয়া ওই বছর ১২ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলা করেন। আদালতের বিচারক বৈজয়ন্তি বিশ্বাস মামলাটি আমলে নিয়ে বরগুনা জেলাবারের সভাপতি আবদুল মোতালেব মিয়াকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়।
বাদীর আইনজীবী নাহিদ সুলতানা জানান, মোতালেব মিয়া ওই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পরে আসামি অধ্যক্ষ মো. মজিবুর রহমান এ বছর ২৯ জানুয়ারি উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন নেয়। উচ্চ আদালত ৬ সপ্তাহের মধ্যে নি¤œ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়। গতকাল পাথারঘাটার আদালতে অধ্যক্ষ মজিবুর জামিন আবেদন করেন। বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
অধ্যক্ষ মো. মজিবুর রহমানের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তার পরিবারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কেউ কোন মন্তব্য করেননি।
"