তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
তানোরে ১০ টাকার চালে বস্তায় ২ কেজি কম
ভুক্তভোগী সোয়া ৯ হাজার
রাজশাহীর তানোরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (ফেয়ারপ্রাইস) চাল বিতরণে বস্তায় ২ কেজি করে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে গুদাম কর্মকর্তা ও ডিলাররা পরস্পরের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন। তবে এই চাল কম দেওয়ায় সোয়া নয় হাজার সুবিধা ভোগী এর ভুক্তভোগী হচ্ছেন।
তানোর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৯ হাজার ২৬৯ জন উপকারভোগীর জন্য ২ লাখ ৭৮ হাজার ৭০ কেজি চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা তিন মাসের মধ্যে বণ্টন করা হবে। এজন্য উপজেলার ৭ ইউনিয়নের জন্য ১৪ জন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। উপকারভোগীরা ১০ টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে কিনতে পারবেন। এমনিতে ত্রিশর কেজি বস্তায় অটুট বিক্রি হলেও, ৫০ কেজির বস্তা ভেঙে মেপে বিক্রি হয়।
ডিলারদের অভিযোগ, সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে চাল নিয়ে বিক্রির সময় ৫০ কেজির বস্তায় মিলছে ৪৮ কেজি আর ৩০ কেজির বস্তায় মিলছে ২৮ কেজি। তবে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার দাবি, ডিলাররাই বস্তা থেকে চাল বের করে ও ওজনে কম দিয়ে খাদ্যবিভাগের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।
এদিকে সোয়া ৯ হাজারের অধিক উপকারভোগীর মাথা পিছু ২ কেজি করে বস্তায় কম হলে প্রায় ১৮ হাজার ৫৩৪ কেজি চালের কোনো হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। চাল কম দেয়ার ঘটনায় হত-দরিদ্রদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করলেও মুখ খুলছেন না কেউ। উপজেলার পালন্দ ইউনিয়নের উপকারভোগী ভিক্ষুক নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, চাল কম দেওয়া নিয়ে কথা বললে কর্তারা চাল দেওয়াই বন্ধ করে দিতে পারে, এই ভয়ে তারা কোনো কথা বলেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ডিলার বলেন, সরকারি খাদ্য গুদাম থেকেই প্রতি বস্তায় দেড় থেকে দুইকেজি করে চাল কম পাওয়া যাচ্ছে।
জানতে চাইলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (টিসিফুড) নাজমুল জানান, যখন গুদাম থেকে চাল বের হবে তখন ডিলারদের ওজন সঠিক ভাবে বুঝে নিতে হবে পরে অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়। তবে এসব নিয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
তানোর সরকারি খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) তারিকুজ্জামান বলেন, গুদাম থেকে চাল কম দেওয়ার কোনো সুযোগ নাই। তিনি বলেন, একশ্রেণির ডিলার নিজেরাই চাল কম দিয়ে আমাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন।
"