পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি
মাত্র তিনজন চিকিৎসকে চলছে পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
খুলনার পাইকগাছা ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চলছে মাত্র তিনজন চিকিৎসক দিয়ে। সম্প্রতি টিএইচএর অবসর ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের বদলির কারণে সৃষ্ট এ অবস্থায় ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা কার্যক্রম।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, পাইকগাছা উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে ১৯৯৭ সালে ৩১ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম শুরু হয়। সে সময় ৯ জন চিকিৎসক ছিল। ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। কিন্তু ৩১ শয্যার জনবল দিয়ে চলছে ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম শুরু হলে কয়েক বছরের মধ্যে অবসর ও বদলিজনিত কারণে চিকিৎসকের সংখ্যা দাঁড়ায় মাত্র ৩ জন।
সদ্য অবসরে যাওয়া পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রভাত কুমার দাশ জানান, ৫০ শয্যার হাসপাতালে সাধারণত ২২ চিকিৎসকসহ ৩৩ জন জনবল। অথচ অন্য জনবল ছাড়া এখন আছে মাত্র তিনজন চিকিৎসক।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার প্রায় ৪ লাখ জনগোষ্ঠীসহ অন্যান্য উপজেলা থেকে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসে অসংখ্য রোগী। প্রতিদিন বহির্বিভাগে ২/৩শ রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকে। আন্তঃ বিভাগে কখনও কখনও শতাধিক রোগী ছাড়িয়ে যায়। ভর্তি থাকে ৭০/৮০ জন। বেড ছাড়া যাদের ঠাঁই হয় বারান্দায়। এক সময় গাইনী ওয়ার্ডে প্রায় সব সময় ২০/২৫ জন রোগী ভর্তি থাকত। দীর্ঘদিন ধরে অ্যানেসথেসিয়া না থাকায় সিজারিয়ানসহ বিভিন্ন ধরণের অপারেশন বন্ধ রয়েছে। গত ২২ ফেব্রুয়ারি উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রভাত কুমার দাশ অবসর গ্রহণ করেন এবং শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মিঠুন কুমার দেবনাথ বদলি হওয়ায় ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে মাত্র ৩ জন ডাক্তার। যার মধ্যে ডা. সুজন কুমার সরকার উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে বিভিন্ন এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে ডা. সুজন কুমার সরকার বলেন, যতদিন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার না আসবে ততদিন পর্যন্ত পাইকগাছাবাসীকে কিছুটা চিকিৎসা ক্ষেত্রে দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
"