বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটে সালিশকে কেন্দ্র করে হামলার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সদর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে জমিজমা নিয়ে বিরোধের সালিশকে কেন্দ্র উজ্জ¦ল রায় নামে এক ব্যক্তির বসত বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আরও অভিযোগ পাওয়া যায়, চেয়ারম্যানের লোকদের হামলা করেছেন উজ্জল পরিবারের লোকজন। চিতলমারী সদর উপজেলার আরুলিয়া গ্রামের চিত্ত রঞ্জন রায় এর ছেলে স্থানীয় স্কুলশিক্ষক উজ্জ¦ল রায়। গতকাল শনিবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান শেখ নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে হামলার এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক উজ্জ¦ল বলেন, জমিজমা নিয়ে বাসুদেব পোদ্দারের সাথে একই এলাকার মিলন হাওলাদার, সুনিল মাঝি, রজত রায় ও কিশোর মজুমদারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের মিমাংসার জন্য গত শুক্রবার সকালে উপজেলার খড়িয়া গ্রামে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এ সময় বাসুদেব আমার প্রতিবেশি হওয়ার সুবাদে সালিশ-বৈঠকে আমি ও আমার ভাই প্রদীপ রায় সেখানে উপস্থিত হই। উজ্জ¦লের অভিযোগ, সালিশের এক পর্যায়ে আমি ও আমার ভাই প্রদীপ বাসুদেবের পক্ষে কথা বললে বৈঠকে উপস্থিত চেয়ারম্যান শেখ নিজাম উদ্দিন ও তার লোকজন আমাদের উপর চড়াও হয়। পরে সেখান থেকে আমরা চলে আসি। এরপর চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিনের নির্দেশে, সদর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা কিশোর মজুমদার ও রজত রায়সহ দুই থেকে তিন শতাধিক লোক আমাদের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এ সময় পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়। এ অবস্থায় শিক্ষক উজ্জ¦ল ও তার পরিবার নিজ বাড়ি ফিরে যেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সাংবাদিকদের কাছে উজ্জ¦লের দাবি, চেয়ারম্যানের ভয়ে বতর্মানে বাগেরহাট সদরে অবস্থান করতে হচ্ছে, তাই চিলতমারীতে থানায় কোনো অভিযোগ করতে পারেনি।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান শেখ নিজাম উদ্দিন বলেন, আমার লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে উজ্জল এখন উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। নিজেদের অপরাধ ঢাকতে তারা এখন অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। উজ্জ¦লের বিরুদ্ধে থানায় মৌখিক অভিযোগ করেছেন বলে জানান তিনি।
চেয়ারম্যান ও শিক্ষক উজ্জ্বলের হামলার পাল্টাপাল্টি অভিযোগের বিষয়ে চিতলমারী থানার ওসি অনূকুল সরকার প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, ‘কোনো পক্ষ আমাকে মৌখিক বা লিখিত অভিযোগ করেনি। স্থানীয়দের কাছ থেকে ঘটনা সর্ম্পকে শুনেছি। তবে সরজেমিনে ঘুরে বাড়ি-ঘরে হামলা বা চেয়ারম্যানের লোকদের মারধরের কোনো সত্যতা পাইনি।’
"