অলিউজ্জামান রুবেল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

  ১০ মার্চ, ২০১৮

রাইস মিল থেকে কাবিখার ৯০ টন চাল জব্দ

* খাদ্য পরিদর্শকসহ আটক তিন * ‘মূল হোতা’ ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তাকে ছেড়ে দেওয়ায় ক্ষোভ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আতাহার এলাকার নবাব অটো রাইস মিল থেকে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পের ৯০ মেট্রিক টন চাল জব্দ করেছে র‌্যাব। এ সময় প্রকল্পের দুই সদস্যসহ উপজেলা খাদ্য পরিদর্শককে আটক করা হয়। গত বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে তাদের আটক করা হয়। এর আগে রাত ৮টার পর থেকেই ওই রাইস মিলে অবস্থান নেয় র‌্যাব।

র‌্যাব-৫ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের ইনচার্জ স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ সাঈদ আব্দুল্লাহ আল মুরাদ জানান, শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের রানীহাটি কলেজের সামনে ব্রিকফিল্ড গুচ্ছগ্রামের উন্নয়ন কাজের জন্য ৯০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। কিন্তু প্রকল্প কমিটিতে সভাপতি নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের সদস্য বিথী রানী ও সদস্য ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আমিনুল ইসলাম এই চাল শ্রমিকদের না দিয়ে নবাব অটো রাইস মিলে বিক্রি করে দেয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার চালগুলো জব্দ করা হয়। চাল বিক্রির দায়ে রাতেই বিথী রানী ও আমিনুল ইসলামকে এবং শুক্রবার সকালে শিবগঞ্জ উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক গোলাম রাব্বানীকে আটক করা হয়। পরে সদর থানায় র‌্যাব বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। এতে আটক তিনজনসহ রাইস মিলের মালিক আকবর আলীকে আসামি করা হয়।

তবে ঘটনার সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন প্রকল্পের সভাপতি বিথী রানী। তিনি এ ঘটনার জন্য শিবগঞ্জ উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলামকে দায়ী করেন। বিথী রাণী সাংবাদিকদের জানান, প্রকল্পের বরাদ্দ সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না। এর সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান করতেন আরিফুল ইসলাম। প্রায় ১৫ দিন আগে নিজের অফিসে ডেকে কিছু কাগজপত্রে তার স্বাক্ষর নেন আরিফুল। এর বাইরে আর কিছুই জানেন না তিনি। ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার অপরাধের শাস্তি তাকে দেয়া হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

একই কথা বলেন ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম। তিনি জানান, উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাকে ওই প্রকল্পের দেখভাল করার কথা বলা হয়েছিল। এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু একজন সরকারি কর্মকর্তার প্ররোচনায় এভাবে ফেঁসে যাবেনÑতা কখনো ভাবতেই পারেননি বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ওই কাজের তত্ত্বাবধান করছিলেন খোদ উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা। চাল বিক্রির টাকাও তার কাছে আছে। কারণ কিছুদিন আগে কয়েকজন শ্রমিককে দেয়ার জন্য ৪ হাজার টাকা পাঠিয়েছিলেন। প্রকল্পের এই চাল বিক্রির মূল হোতা আরিফুল ইসলাম বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে মিডিয়ার কাছে দেয়া উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলামের বক্তব্য সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। তিনি বারবার দাবি করছিলেন বিথী রাণীকে তিনি বরাদ্দের ডিও লেটার বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। তবে মিডিয়ার সামনে তিনি বিথী রাণীর মুখোমুখি হয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist