সিলেট প্রতিনিধি

  ০৭ মার্চ, ২০১৮

মামলাকৃত ভূমি দেখিয়ে ব্যাংক লোন উঁচু টিলা কেটে বহুতল ভবন

মামলাকৃত ভূমি ব্যাংকে মর্গেজ দিয়ে ৮০ লাখ টাকার লোন তুলেছেন এক ব্যাংক কর্মকর্তা। আবার সেই টাকায় পরিবেশ আইন অমান্য করে ভূমিতে থাকা উঁচু টিলা কেঁটে পাঁচতলা বাড়ী নির্মারণ করেছেন তিনি। সিলেটের রায়নগর বাসিন্দা লুৎফুর রহমান মামুনের স্ত্রী দিপিকা রহমানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি জনতা ব্যাংকের সিলেট উপশহর শাখার ব্যবস্থাপক।

টিলা কেটে বাড়ী নির্মাণ এবং ভূমির উপর আদালতের নিষেধ আদেশ থাকার পরও ভবন নির্মাণ বন্ধে একই এলাকার বাসিন্দা ও ভূমির উত্তরাধিকার নবকুমার চক্রবর্তীর ছেলে (নও মুসলিম) আব্দুর রহমান ২০১৬ সালে ৮ নভেম্বর সিলেট সিটি কর্পোরেশনে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এর আগে ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট দৈনিক সিলেটের ডাক পত্রিকায় ভূমির ‘অপর মালিকপক্ষ’ একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। সরেজমিনে, উঁচু টিলা কেটে পাঁচতলা ফাউন্ডেশনের তিনতলা বিশিষ্ট একটি বাড়ি তৈরি করে অভিযুক্তকে বসবাস করতে দেখা যায়।

সিলেট জজ কোর্ট সূত্রে জানা যায়, সিলেট নগরীর এস.এ রেকর্ডের উঁচু টিলাসংবলিত ১৬ একর জমির একক মালিক নবকুমার চক্রবর্তী। ২০০৬ নবকুমার চক্রবর্তী মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারী হিসাবে তার স্ত্রী ও সাত ছেলে ওই ভূমির মালিক হন। ২০০৭ সালে ওই জমি নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারার জন্য মৃতের সন্তান নব্য মুসলিম আব্দুর রহমান উরফে ব্রজনাথ চক্রবর্তী ও নব্য মুসলিম শহীদুল ইসলাম উরফে গোপীনাথ চক্রবর্তী বাদী হয়ে জজ কোর্টের স্মরণাপন্ন হলে ২০১০ সালে কোর্ট বাদী সহ সাতচ ভাই ও তাদের মায়ের মাঝে বন্টন করে দেন। ২০১৪ সালের ৪ আগস্ট একই এলাকার তছির আলীর ছেলে নাজমুল ইসলাম গং ভূমির মালিক দাবী আপীল মামলা করলেও আদালত পূর্বের রায় বহাল রাখে। তবুও নাজমুল ইসলাম গংদের যোগসাজসে দিপিকা রহমান টিলা কেটে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন বলে মালিক পক্ষের অভিযোগ। এদিকে এই জায়গা নিয়ে এখন মালিক পক্ষের সঙ্গে দখলদার নাজমুল ইসলাম গংদের সঙ্গে আদালতে মোকদ্দমা চলমান আছে।

সিলেট সেটেলমেন্ট অফিসের কর্মকর্তা সঞ্জয় কান্তি দেবের সাথে আলাপ হলে এ বিষয়ে বলেন, বিধি মোতাবেক ভূমির কাগজপত্র সঠিক পেয়েছি। তাই তাদের নামে নামজারী হয়েছে। যদি সমস্যা মনে করেন, আপনারা নামজারী ভাঙ্গার মামলা করেন, আমরা দেখব। জনতা ব্যাংকের ম্যানেজার দিপিকা রহমানের সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করলে তিনি বলেন, আমার ক্ষয়কৃত ভূমির কাগজপত্র সঠিক আছে। এর জন্য ব্যাংক আমাকে ৮০ লক্ষ টাকা লোন দিয়েছে। ভূমির উপর মামলার ব্যাপারে তিনি বলেন, মামলা আছে তাতে কি, আমার উপরে তো মামলা নেই। পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক আব্দুস সালাম ভবন নির্মিত জায়গা পরিবেশ অধিদপ্তরের আওতাধীন ও অবৈধ উল্লেখ করে জানান, বিষয়টি ৭-৮ মাস আগে তাদের নজরে আসে। রাতের আঁধারে টিলা কাটা হওয়ায় তারা রোধ করতে পারেন নি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist