আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
তালতলীতে রাস্তা কেটে মাটি বিক্রি
বরগুনার তালতলী উপজেলার তেঁতুলবাড়ীয়া লঞ্চঘাটের যাত্রীদের চলাচলের জন্য সরকারি টাকায় নির্মিত রাস্তার মাটি কেটে বিক্রি করছে স্থানীয় সাইদুর রহমানের পুত্র রফিক (৩৫)। ইউপি চেয়ারম্যানের নিষেধের পরও তিনি মাটি কেটে বিক্রি করছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার দক্ষিনের ৩ ইউনিয়ন: বড়বগী, নিশানবাড়ীয়া ও সোনাকাটার প্রায় ৭০ ভাগ লোক মৎস্য আহরণ ও ব্যবসার সাথে জড়িত। এ মৎস্য ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকার মাছ তেঁতুলবাড়ীয়া থেকে লঞ্চে করে পাথরঘাটা নিয়ে আড়ৎদারের মাধ্যমে দেশ-বিদেশে রফতানী করে আসছে। এই মাছ ধরাসহ লঞ্চ যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে ২০১০-১১ অর্থ বছরে ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে লঞ্চঘাটে মাটির রাস্তা নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তাটি সংস্কার করে।
লঞ্চঘাটের পার্শ্ববর্তী নলবুনিয়া এলাকার বখাটে রফিকুল ইসলাম শ্রমিক নিয়ে সেই রাস্তা কেটে মাহেন্দ্র গাড়ী ভরে নিয়ে বিভিন্ন বাড়ী, মসজিদ ও ইটভাটায় বিক্রি করছেন। এই কাজে ইন্ধন দিচ্ছেন স্থানীয় বিএনপি কর্মীদের একটি অংশ। কথিত আছে, এ ব্যবহৃত মাহেন্দ্রটি এক চোরাই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে ক্রয় করে এনেছেন। পরে গাড়ীর নামে জাল জালিয়াতি করে কাগজ তৈরী করলেও এ এলাকার অন্য সব গাড়ীর কাগজের সাথে তার কোনো মিল পাওয়া যায়নি। তেঁতুলবাড়ীয়া এলাকার মোসলেম আলী গাজী ও মোঃ মিরাজ মোল্লা, জেলে জলিল আকন, মেছের গাজী ও শাহআলম বলেন, চেয়ারম্যানের সহায়তায় ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান লঞ্চঘাটের রাস্তাটি নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে আমরা এলাকাবাসী সেচ্ছাশ্রমে রাস্তাটি সংস্কার করি। এ রাস্তাটি দিয়ে লঞ্চযাত্রী ও স্থাণীয় জেলে সম্প্রদায় চরে ওঠা-নামা করি। বখাটে রফিক রাস্তাটি কাটার শুরুতেই আমরা নিষেধ করলে সে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। পরে চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে।
"