তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
বেশি নম্বর দেওয়ার প্রলোভনে ‘টাকা আদায়’
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় দাখিল পরীক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষায় বেশি নম্বর দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৩০০ জন পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে ২০০ টাকা হারে ৬০ হাজার টাকা আদায় করার অভিযোগ করা রয়েছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার তাড়াশ দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে অধ্যক্ষ গোলাম ইয়াসিন চলমান দাখিল পরীক্ষায় কৃষি বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষায় ২৫ নম্বর দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে জনপ্রতি ২শ টাকা উত্তোলন করেছেন। যে শিক্ষার্থীরা গরীব অসহায় অথবা টাকা দিতে গড়িমসি করছে তাদেরকে নম্বর কম দেওয়া হবে বলে অধ্যক্ষ গোলাম ইয়াসিন পরীক্ষার্থীদের জানিয়েছেন। যার ফলে শিক্ষার্থীরা গরীব বাবা-মায়ের নিকট হতে চাপ প্রয়োগ করে টাকা নিয়ে অধ্যক্ষ গোলাম ইয়াসিনকে দিতে বাধ্য হচ্ছে।
তাড়াশ উপজেলার অনেকেই জানান, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ গোলাম ইয়াসিন ছোট বড় নেই সবার সাথেই রুঢ মেজাজে কথা বলেন। ছাত্র-ছাত্রীদের অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে থাকেন। তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষকগণ পরীক্ষা সংক্রান্ত কোন বিষয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসলে অপমানিত করে বের করে দেন।
আরও জানা যায়, এ বছর তাড়াশ উপজেলায় দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে ৩০০ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করেছিল। অধ্যক্ষের রুর আচরণে সবাই অতিষ্ঠ। কৃষি ব্যবহারিক পরীক্ষায় অত্যন্ত সুচারুভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে ৬০ হাজার টাকা আদায় করে তিনি আত্মসাৎ করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু শিক্ষক জানান, অধ্যক্ষ প্রতি-বছরই ব্যবহারিক পরীক্ষায় অতিরিক্ত টাকা আদায় করে থাকেন। অত্র প্রতিষ্ঠানটি পরীক্ষার কেন্দ্র হওয়ায় অধ্যক্ষ গোলাম ইয়াসিনের নিকট সকল শিক্ষকরাই জিম্মি।
এ ব্যাপারে তাড়াশ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ গোলাম ইয়াসিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অস্বীকার করে ফোন কেটে দেন।
তাড়াশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফকির জাকির হোসেন জানান, ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট হতে অবৈধভাবে টাকা আদায় করলে তার কোন ক্ষমা নেই। তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে উক্ত কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী শিমুল মিয়া জানায়, টাকা না দিলে স্যার ব্যবহারিক পরীক্ষায় নম্বর কম দিবে যার ফলে আমরা ভাল রেজাল্ট করতে পারব না। তাই বাবা-মায়ের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা এনে স্যারকে দিয়েছি।
"