মেহেরপুর প্রতিনিধি

  ০৫ মার্চ, ২০১৮

মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস সরকারি কর্মকর্তার দখলে!

মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসটি শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের দখলে চলে গেছে। ছাত্রাবাসে ছাত্রের বদলে শিক্ষা অফিসার, স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও সরকারের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা দখল করে আছেন। ছাত্রাবাসে অবস্থানকারী কয়েকজন মাদকাসক্ত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, ছাত্রাবাসটিতে বর্তমানে মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. ইমরান হোসেন ও ওমর ফারুখ, সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল মালেক, সদর উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা ওয়াহেদুল ইসলাম, মেহেরপুর সরকারি কলেজের বিএনসিসির প্রশিক্ষক মনিরুজ্জামানসহ বেশ কয়েকজন বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা বসবাস করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে স্কুল শিক্ষক মো. ইমরান হোসেন মাদকাসক্ত হবার কারণে তার স্ত্রী তাকে তালাক দিয়েছেন। এরপর থেকে এই ছাত্রাবাসে তিনি দুই বছর ধরে অবস্থান করছেন। তার কারণেই ছাত্রবাস এলাকায় রাতের বেলা মাদকাসক্তর অবস্থানে সাধারণ মানুষ সেখানে যেতে ভয় করেন। ২০০৫ সালে স্কুল বাউন্ডারির মধ্যে প্রায় সাত লাখ টাকা ব্যয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের আবাসিক ভবন নির্মিত হয় । নির্মাণের পরপরই বাসাটি ব্যবহার অযোগ্য বলে স্কুল কর্ত্তৃপক্ষ ফ্যাসিলিটিজকে লিখিত অভিযোগ করেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান- বাসা নির্মাণের পরপরই ব্যবহার অযোগ্য দেখিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বেতনের সাথে বাসাভাড়ার টাকা উত্তোলন করেছেন। অথচ থেকেছেন বিনাভাড়ায় ছাত্রবাসে। বাসা নির্মাণের পর এ পর্যন্ত কোনো প্রধান শিক্ষকই বাসাতে থাকেননি। ফলে বাসার জানালা দরজা রাতের আঁধারে লোকজন খুলে নিয়ে গেছে।

ছাত্রাবাসে থাকা সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল মালেক বলেন তিনি অন্যায়ভাবেই সেখানে থাকছেন। তবে স্কুল কর্ত্তৃপক্ষ আপত্তি করলে চলে যাবেন। ছাত্রাবাসে থাকা স্কুলের শিক্ষক মো. ইমরান হোসেন জানান, তিনি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়েই ছাত্রাবাসে আছেন।

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক এ প্রসঙ্গে প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, ছাত্রবাসটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে মাত্র এক বছর ছাত্ররা সেখানে থেকেছে। তারপর থেকে অনিয়মই এখানে নিয়ম হয়ে গেছে। সাবেক প্রধান শিক্ষক যেহেতু তাদের বারণ করেনি সে কারণে তিনি আইনগত কোন পদক্ষেপ নেননি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist