নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি

  ০৩ মার্চ, ২০১৮

‘চাঁদে সাঈদী’ গুজবে নন্দীগ্রামে তান্ডবের বিচার শুরু হয়নি পাঁচ বছরেও

বগুড়ার নন্দীগ্রামে উপজেলা পরিষদসহ এখানকার বিভিন্ন স্থানে জামায়াত-শিবিরের ভয়াবহ তাÐবের পঞ্চম বর্ষপূতি আজ। সেই সাথে উপজেলা পরিষদ নতুন সাজে সজ্জিত করা হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে ৪ কোটি ২৮ লাখ ৮৪ হাজার ৩৯৪ টাকা ব্যয়ে ছয়তলা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন। পাশাপাশি পাল্টে গেছে পরিষদের ধ্বংসযজ্ঞ চিত্র। তবে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এ পাঁচ বছরে শুধুমাত্র অভিযোগপত্র দেওয়া হলেও বিচার শুরু হয়নি। মামলার ৬৪৪ আসামির জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা বেশিরভাগই জামিনে বাইরে ঘোরাঘুরি করছে। সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ৩ মার্চ জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে চাঁদে দেখার গুজবে উপজেলা পরিষদে দফায় দফায় কয়েক ঘন্টাব্যাপী তাÐবে ১৬টি অফিসে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে সেই সময় পৌর এলাকা বিধ্বস্ত নগরীতে পরিণত হয়। উপজেলা পরিষদের বিশাল এলাকা ছিল এক বিরানভূমি। উপজেলা পরিষদ কমপেক্সে থাকা দোতলা ভবনের প্রতিটি কক্ষের আসবাব আর নথিপত্র পুড়ে ছাইয়ের স্তুপ হয়েছিল। দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়েছিল। বিভিন্ন কক্ষের টেবিল, টেলিভিশন, কম্পিউটার, টেলিফোনসেট, ফ্যাক্স মেশিন, সরকারি সব নথিপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সেই ছাইয়ের মধ্যেই রয়েছিল উপজেলার সব উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কর্মকাÐের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, কর্মচারীদের চাকরি সংক্রান্ত রেকর্ড বই, বিভিন্ন সরকারি মামলা, ঋণ, নকশা, ভাউচারসহ সবকিছু। তখন থমকে যায় অফিসের সকল কার্যক্রম। সেই সঙ্গে নেমে আসে স্থবিরতা। এখনো ক্ষতিগ্রস্থ ভবনের ক্ষত যেন মনে করিয়ে দেয় সেদিনের সেই বিভীষিকার কথা। কতোটা নিষ্ঠুরতার সাথে এই ধরনের একটি হামলা চালনো সম্ভব সেই কথাই ঘুরে ফিরে এখনো আসছে সাধারণ মানুষের আলোচনায়। সেই তাÐবে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল বলে উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়। এছাড়া হামলা চালানো হয় থানাসহ তৎকালীন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ’র বাড়িসহ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়ি ও অফিসে। এইসব ঘটনায় থানায় পৃথক পৃথকভাবে চারটি মামলা হয়। সেই সব মামলায় নন্দীগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমির ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মন্ডল, সেক্রেটারি মঞ্জুরুল ইসলামসহ ৬৪৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে মামলার আসামিরা অধিকাংশ জামিনে রয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ও নন্দীগ্রামে এ ধরনের বর্বরতা বা নাশকতামূলক কর্মকান্ড ঘটেনি। যা ২০১৩ সালের এই দিনে ঘটেছিল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist