নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালী সদর হাসপাতাল
সরকারি ওষুধ বিক্রি করায় আটক ১ : তদন্তে কমিটি
নোয়াখালী সদর হাসপাতালে সরকারি ওষুধ বিক্রির অপরাধে রিয়াজ নামে একটি যুবককে আটক করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে তাকে থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়। গতকাল শুক্রবার সকালে সরকার অনুমোদিত হাসপাতাল কম্পাউন্ডের আল আমিন ফার্মেসি থেকে ওই যুবককে আটক করা হয়। আটককৃত রিয়াজ ওই ফার্মেসীর একজন স্টাফ।
এদিকে, এ ঘটনায় হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. জসিম উদ্দিনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার সকালে হাসপাতালের বহির্বিভাগ ডাক্তারের দেওয়া ব্যবস্থাপত্র নিয়ে একজন রোগী ওষুধ নেওয়ার জন্য আল আমিন ফার্মেসিতে যান। এ সময় ২০০ টাকার বিনিময়ে সরকারি সীলযুক্ত বিনামূল্যের ওষুধ দেন। পরে বিষয়টি হাসপাতালের এক ডাক্তারের নজরে আসে।
বিষয়টি হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ও তত্বাবধায়ককে জানালে ওই ফার্মেসীর স্টাফ রিয়াজকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রিয়াজের অসংগতিপূর্ণ কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তাকে সুধারাম থানার শহর উপপরিদর্শক (টিএসআই) লিটন দত্তের কাছে সোপর্দ করা হয়। আল আমিন ফার্মেসির সত্বাধিকারী গোলাম মর্তুজা মুন্না বলেন, ওই কর্মচারি ওষুধগুলো হাসপাতালের কোনো এক নার্স থেকে নিয়ে রোগীর কাছে বিক্রি করেছে। তার ফার্মেসির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সুধারাম মডেল থানার টিএসআই লিটন দত্ত বলেন, সরকারি ওষধ বিক্রির অপরাধে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রিয়াজকে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তবে এখনও লিখিত কোন অভিযোগ দায়ের করেনি।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সৈয়দ মহি উদ্দিন আব্দুল আজিম বলেন, ঘটনায় গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি আগামী ৫ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিলে সে আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. মোহাম্মদ খলিল উল্যাহ বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেক্ষেত্রে যতবড় চক্রই এর সঙ্গে যুক্ত থাকুক তাদের মূল উৎপাটন করা হবেই। আটক যুবকের বিষয়ে তিনি বলেন, ওই যুবক হাসপাতালের কর্মচারী না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আপাতত ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া, যেহেতু সে হাতে নাতে ধরা পড়েছে সেহেতু পুলিশই তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
"