মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
মদনে ডাক্তার সেজে প্রতারণা
নেত্রকোনার মদন পৌরসদরে গতকাল বুধবার পপুলার ডায়গনোস্টিক সেন্টারে ডাক্তার সেজে রোগীদের সাথে প্রতারণা করায় মো. শাহিন আলম নামের এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাসের কারাদÐ দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সরেজমিন জানা যায়, শাহিন আলম দীর্ঘদিন এমবিবিএস ডাক্তারের ভূয়া সনদ ঝুলিয়ে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছে। এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে গতকাল সকালে পপুলার ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে রোগী দেখার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ওয়ালীউল হাসান উপস্থিত হয়ে তার ডাক্তারির বৈধ কাগজ পত্র দেখতে চান। এ সময় শাহীন আলম ডাক্তারির কোনো বৈধ কাগজ পত্র দেখাতে পারেননি। এতে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাসের কারাদÐ দেন। এ ব্যক্তি নিজেকে এমবিবিএস নয় বলে স্বীকার করে এবং আর কেনো স্থানে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগী দেখবেন না বলে অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর দিয়ে জরিমানার ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করে ছাড়া পান। শাহীন আলম কিশোরগঞ্জ সদরের পূর্বতারা পাশা রেল স্টেশন এলাকার আইন উদ্দিনের ছেলে। এ সময় অপর ভুয়া ডাক্তার মিজানুর রহমান বৈধ কাগজ পত্র আনার কথা বলে সটকে পড়েন। ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম আকন্দসহ গণমাধ্যম কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
পপুলার ডায়াগনোস্টিকের মালিক মো. এনামূল হক জানান, তারা যে ভুয়া ডাক্তার তা জানা ছিল না। নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ওয়ালীউল হাসান বলেন, ভুয়া ডাক্তারি সনদে রোগীদের সাথে প্রতারণার অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ অভিযান চালানো হয়।
"