ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
কালীগঞ্জের ফুল চাষিদের বসন্তে বিক্রি ২ কোটি টাকা
ফাল্গুনের প্রথম দিনে বসন্তের দোলা সবার হৃদয়ে। উৎসবের আঙ্গিনায় মানুষ ছুটছে বাসন্তী বসন আর ফুলের শোভায় সেজে। আনন্দ ও ভালোবাসা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম ফুল বিক্রি করেই ২ কোটি টাকা ঘরে তুলেছেন ঝিনাইদহের ফুলনগরী হিসেবে খ্যাত কালীগঞ্জের ফুল চাষিরা।
ফুল চাষি ও উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুল করিম জানিয়েছে, এবার ভালবাসা দিবস ও বসন্ত উৎসবে ঝিনাইদহ থেকে প্রায় ২ কোটি কোটি টাকার ফুল দেশের বিভিন্নস্থানে রফতানি হয়েছে। আর ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আরো এক কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে। তিনি আরও জানান, কালীগঞ্জ, কোটচাদপুর ও সদর উপজেলায় প্রায় পাঁচশ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফুলের চাষ হয়েছে। এরমধ্যে কালীগঞ্জের ১৯২ হেক্টরে গাঁদা ফুল, ১ হেক্টর করে গোলাপ ও গ্লাডিয়াস, রজনীগন্ধা ৬ হেক্টর এবং জারবেরা সাড়ে ৩ বিঘা, লিলিয়াম তিন বিঘা জমিতে চাষ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি চাষ করা হয় বিভিন্ন রঙের গাঁদা ফুল। এক বিঘা জমি থেকে ছয় মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করা যায়। খরচ শেষে লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা ফুল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
তিনি বলেন কালীগঞ্জ উপজেলার লাউতলা, বালিয়াডাঙ্গা, কোলাবাজার, তিল্লা, সিমলা, রোকনপুর, পাইকপাড়া, তেলকুপ, গুটিয়ানী, কামালহাট, বারবাজার, ঝিনাইদহ সদরের গান্না বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন মাঠের পর মাঠে চাষ করা হয়েছে গাঁদা, রজনীগন্ধ্যা, গোলাপ ও গ্লাডিয়াসসহ নানা জাতের ফুল। এ কারণে এ এলাকা ফুলনগরী হিসেবে পরিচিত। বসন্ত উৎসব ও ভালবাসা দিবস উপলক্ষে এক ঝুপি গাঁদা ফুল ৮০-১০০ টাকা, রজনীগন্ধ বিক্রি হয়েছে এক কেজি ১০০ টাকা ও পিস ৩/৪ টাকা আর গ্লাডিয়াস এক পিস ৮-১০ টাকা দরে, জারবেরা বিক্রি হয়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে।
ফুল ব্যবসায়ী আমিনুর রহমান জানান, প্রতিদিনই উপজেলার ফুলচাষীরা ফুল নিয়ে কালীগঞ্জ মেইন বাসস্টান্ডে আসে। তাদের কাছ থেকে ফুল কিনে দুরপাল্লার বাসে-ট্রাকে ফুল দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। বিক্রেতারা জানান, গত সোমবার বিকালে এলাকার উৎপাদিত ফুল দূরপাল্লার পরিবহনের মাধ্যমে ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বড় বড় শহরগুলোতে পাঠানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবারও কিছু ফুল ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
জেলার কালীগঞ্জের বিভিন্ন ফুলের বাজারে আগত ফুলচাষিরা জানান, সারা বছরই তারা ফুল বিক্রি করে থাকেন। তবে প্রতিবছর বিভিন্ন দিবস ও ভালবাসা দিবস ফুলের অতিরিক্ত চাহিদা থাকে। এ সময় দাম ও থাকে ভালো।
"