বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
চুরির অভিযোগে ৩ ছাত্রকে ‘পেটালেন’ শিক্ষক
নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া সেন্ট যোশেফ স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির তিন ছাত্রকে ৩৫০ টাকা চুরি অভিযোগে ‘পিটিয়েছে’ সহকারী প্রধান শিক্ষক বেনেডিক্ট গমেজ। গতকাল শুক্রবার সকালে ওই তিনছাত্রের অভিভাবকসহ অন্যান্য স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এই এ ঘটনা জানিয়ে ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করেছেন। লিজনের পিতা ইগ্নুসিয়াস পিউরি প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে ওই শিক্ষক নবম শ্রেণীর ছাত্র প্রত্যয় কোড়াইয়া, লিজন পিউরি, ঈশ্য গোমেজকে অফিস কক্ষে ডেকে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে অমানুষিকভাবে পেটায়। এতে ওই তিন ছাত্রের দুই হাতের বাহু, পা, পিঠে রক্ত জমাট বেধে দাগ পড়ে যায়। পরবর্তীতে বাড়ি ফিরে আসলে তারা আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে অভিভাবকসহ গ্রামবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক ফাদার লাজারুস রোজারিও এ বিষয়ে শনিবার সুরাহা করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করলে পরিস্থিতি আপাতত শান্ত হয়। প্রত্যয়, লিজন ও ঈশ্য তিন জনই বনপাড়া বাহিমালী এলাকার যথাক্রমে প্রাণেস কোড়াইয়া, ইগ্নুসিউস পিউরি ও চন্দন গমেজের ছেলে। এ ব্যাপারে ওই তিন ছাত্রের সাথে কথা হলে তারা জানান, আগের দিন বুধবার স্কুল ছুটি শেষে বাজারে একটি ফটোকপি দোকানে সাজেশন ফটোকপি করতে গেলে দেখা হয় একই স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র দিব্য কোড়াইয়ার সাথে। এসময় তারা একই সঙ্গে কাগজপত্র ফটোকপি করে। কিন্তু ভিড়ের মধ্যে দিব্য তার কাছে থাকা ৩৫০ টাকা হারিয়ে ফেলে। এতে দিব্য ওই তিন ছাত্রকে সন্দেহ করে পরের দিন সহকারী প্রধান শিক্ষকের কাছে তাদের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ দেয়। এতে সহকারী প্রধান শিক্ষক বেনেডিক্ট গমেজ তাদেরকে অফিস কক্ষে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে পেটান। এ ব্যাপারে শিক্ষক বেনেডিক্ট গমেজের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। প্রধান শিক্ষক ফাদার লাজারুস জানান, বিষয়টি নিয়ে বসা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
"