ভোলা প্রতিনিধি
ভোলার স্বাধীনতা জাদুঘর
স্বাধীনতা অর্জনের ৮০ বছরের ইতিহাস তুলে ধরবে
আগামী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য ও সংরক্ষন করার লক্ষ্য নিয়ে ভোলার উপশহর বাংলাবাজারে স্থাপিত স্বাধীনতা জাদুঘর উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। আগামী ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ জাদুঘরটির আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করবেন বলে জানা গেছে। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করেন। রাষ্ট্রপতির উদ্বোধনের পরপরই জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে জানান জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়ক। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ইতিমধ্যে স্বাধীনতা জাদুঘরটি পরিদর্শন করেছন। বর্তমানে চলছে যাদুঘরটির শেষ মুর্হূতের কাজ। এখানে স্বাধীনতা অর্জনের পেছনের ৮০ বছরের ইতিহাসের ধারাবাহিক দুর্লভ সংরক্ষণ থাকবে।
জাদুঘরটি একদিকে যেমন গবেষণাগার, অপরদিকে ডিজিটাল ডিসপ্লেতে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ভাষা অন্দোলন থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনের ধারাবাহিকতা দেখতে ও জানতে পারবে নতুন প্রজন্ম। বাঙালির লোকজ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়েছে। ইতিহাসবিদ ড. মুনতাসীর মামুনসহ বেশ কয়েকজন গবেষকের পরিশ্রমে জাদুঘরটি অন্যতম সংগ্রহশালায় পরিণত হয়েছে। এখানে স্বাধীনতা অর্জনের পেছনের ৮০ বছরের ইতিহাসের ধারাবাহিক দুর্লভ সংরক্ষণ থাকবে বলে জানা গেছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে নির্মিত প্রামান্য চিত্র ও চলচিত্র প্রর্দশনীর জন্য রাখা হচ্ছে থ্রীডি মিনি হল রুম। তিন বছর আগে এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল জানান, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এমন একটি জাদুঘর নির্মাণের স্বপ্নছিলো দীর্ঘদিনের।
দেশের স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি ভাষণই জাতিকে আন্দোলিত করেছিল। যা আজ গবেষণার বিষয় হয়ে উঠেছে।
জাদুঘর পরিচালনার দায়িত্বে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব জানান, এখানে তিনটি গ্যালারি রয়েছে। প্রথম তলার গ্যালারিতে এক পাশে ইতিহাস এতিহ্য, প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ৪৭ এ দেশভাগ ও ভাষা আন্দোলনের দুর্লভ ছবি ও তথ্য রয়েছে। অপর পাশে রয়েছে লাইব্রেরি ও গবেষণাগার। এ ছাড়া ওই একই তলায় রয়েছে মাল্টিমিডিয়া ডিসপ্লে হলরুম। দ্বিতীয় তলায় রয়েছে ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধের আগ পর্যন্ত ইতিহাসের মুহূর্তগুলোর চিত্রকল্প। তৃতীয় তলায় রয়েছে যুক্তফন্ট, ৫৮’র আন্দোলন, পাকিস্তানের সামরিক শাসন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র গণআন্দোলন, ৭০’র নির্বাচন, ৭ মার্চের ভাষণ , ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগের দুর্লভ আলোকচিত্র। এ ছাড়া রয়েছে বঙ্গবন্ধুর সব ভাষণের অডিও ও ভিডিও ডিজিটাল প্রদর্শনী। দর্শনার্থীরা ডিজিটাল টাচস্কিন ব্যবহার করে যে কোনো গুরুত্বপূর্ন মুহূর্ত ও তথ্য জানতে পারবেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক খন্ড চিত্র এখানে তুলে ধরা হয়েছে। যা আগামী প্রজন্মেও কাছে যুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরবে।
"