মীর আসলাম, রাউজান
রাউজানে কৃষিজমির ২৪ ফুট মাটির নিচে বিশাল গাছের কান্ড
রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের পাঁচখাইন গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম তার বাপ-দাদার আমল থেকে চাষাবাদ করে আসা এক খন্ড জমিতে পুকুর খনন করছিলেন। প্রায় ৫০ শত জায়গা জুড়ে মাটি কেটে গভীর করা হয় ১৮ ফুট। খনন করা এই পুকুরের গভীরতার বৃদ্ধির জন্য তিনি শ্রমিকদের তাগাদা দিলে আবারো শুরু করা হয় মাটি উঠানোর কাজ। ২০ ফুটের মাথায় গিয়ে শ্রমিকরা মাটির নিচে সন্ধান পায় খাড়া হয়ে থাকা এক বিশাল গাছের কা-। অত্যন্ত শক্ত কুচকুঁচে কালো গাছটির কান্ডের ব্যার ১৪ ফুট।
শ্রমিকরা জানায়, গাছটি সন্ধান পাওয়ার পর গোড়া থেকে আরো চার ফুট মাটি উঠানো হয়। খনন স্থানে নিচ থেকে পানি উঠতে থাকায় তারা আর ভিতরের দিকে যেতে পারছে না। তাদের ধারণা গাছটির গোড়া আরো অনেক গভীরে রয়েছে। এলাকার শিক্ষানুরাগী, সমাজ সেবী স.ম. জাফর উল্লাহ এর সাথে কথা বলে জানা যায়, বাপ দাদার আমল থেকে সেখানে দেখেছেন চাষাবাদ করতে। কৃষি জমির ২৪ ফুট নিচে গাছে কা-টি দেখে এলাকার সব বয়সী মানুষ বিষ্ময় প্রকাশ করেছে। ওই ঘটনা শুনে সেখানে দেখতে গিয়েছিলেন নোয়াপাড়ার ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, নিজে গাছটি কা- মাপ দিয়ে দেখেছেন ব্যার ১৪ ফুট।
প্রবীণদের ধারণা প্রায় তিন, চার’শ বছর আগের কোনো প্রাকৃতি বিপর্যয় থেকে এই এলাকাটি তলিয়ে গিয়েছিল। মাটির গভীরে আবিস্কৃত গাছটি সেই সময়কালের হতে পারে। এই ঘটনা শুনে অনেক মানুষ ওই এলাকায় যাওয়া আসা শুরু করেছে গাছটি দেখতে। বিষয়টি নিয়ে কথা বললে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. জাহিদুর রহমান বলেন, মাটির এত নিচে বিশাল গাছের অস্থিত্ব পাওয়ার সংবাদে আমিও বিষ্মিত। ওই এলাকার ভৌগোলিক অবস্থান ও মাটির ধরণ পর্যবেক্ষণ করা গেলে এই নিয়ে মন্তব্য করা যাবে।
"