তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
তানোরে কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত বোরো বীজতলা
রাজশাহীর তানোরে চলতি মৌসুমে কয়েক দিনের একটানা শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে বেশির ভাগ বোরোর বীজতলা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়েছে। ফলে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, চলতি মৌসুমে পহেলা জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ সঙ্গে ঘন কুয়াশা। আগামি দু’চার দিনের মধ্যে অবস্থার উন্নতি না হলে মাঠের পুরো বীজতলা নষ্ট হয়ে যাবে বলে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তানোর পৌর এলাকার গুবিরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও বোরো চাষি কৃষক মফিজ উদ্দীন জানান, ১০০ কেজি বোরো বীজ ৫ কাঠা জমিতে বপন করা হয়েছিল। কিন্তু কয়েক দিনের লাগাতার প্রচ- ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশার কারণে পুরো বীজতলা বাদামি রঙ ধরে লালচে হয়ে পড়েছে। তিনি জানান, ১০০ কেজি বীজ ভালো হলে প্রায় ৯ বিঘা জমি রোপণ করা যেত। কিন্তু বীজের যে অবস্থা তাতে ২ বিঘা জমি রোপণ করা যাবে কিনা সন্দেহ রয়েছে।
একই গ্রামের বোরো চাষি কৃষক মুকবুল জানান, তিনি ২০০ কেজি বীজ ১০ কাঠা জমিতে বপণ করেছিলেন। কিন্তু প্রচ- ঠা-া ও ঘন কুয়াশার কারণে নষ্ট হতে বসেছে পুরো বীজতলা। অথচ ২০০ কেজি বীজ ভালো হলে প্রায় ১৬ বিঘা জমি রোপণ করা যেতো। তানোরের বেশির ভাগ কৃষকের বোরো বীজতলার একই অবস্থার মুখে পড়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, তানোরে চলতি মৌসুমে প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে বোরোর বীজতলা তৈরি হয়েছে এবং ১৪ হাজার ৫২২ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘন কুয়াশা ও ঠা-াজনিত কারণে বোরো বীজতলার ক্ষতি সাধন হয়েছে।
তিনি বলেন, ক্ষতি থেকে বোরো বীজতলা রক্ষা করতে সন্ধ্যার আগে পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে যতক্ষণ ঘন কুয়াশা থাকবে ততক্ষণ, এছাড়াও সন্ধ্যার সময় গরম পানি বীজতলায় দিয়ে সকালে সেই পানি বের করে দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রয়োজনে সালফার জীবসাম ইউরিয়ার সঙ্গে মিশিয়ে প্রতি শতকে ৫০০ গ্রাম করে প্রয়োগ করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, শুধু এটাই না বীজতলা রক্ষায় অনেক আগ থেকেই কৃষকদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ ও বিভিন্ন বিষয়ে ব্লক সুপারভাইজররা মাঠে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
"