হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
হাজীগঞ্জে ১৫ মুক্তিযোদ্ধার আমরণ অনশনের হুমকি!
সবুজ মুক্তিবার্তা, সাময়িক সনদপত্র, অনলাইন প্রত্যয়নপত্র ও উপজেলা থেকে যাচাই-বাছাইকৃত তালিকায় নাম। রয়েছে গেজেট আবেদনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হকের সুপারিশ। তারপরও গেজেটে নাম নেই। তাই নেই সম্মানী ভাতা। গত ৩১ মাস যাবৎ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ১৫ জন মুক্তিযোদ্ধা মানবেতর জীবনযাপন করছেন এবং হচ্ছেন পারিবারিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছেন বলে জানান মুক্তিযোদ্ধারা।
ভাতা স্থগিত এই মুক্তিযোদ্ধারা কোন উপায়ন্তর না দেখে দিয়েছেন মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি ও আমরণ অনশনের হুমকি তারা। তারপর শেষ বলে কথা আছে। তাই প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ১৫জন মুক্তিযোদ্ধা।
ভাতা স্থগিত হওয়া মুক্তিযোদ্ধারা জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বিতরণ নীতিমালা-২০১৩ এর মুক্তিযোদ্ধা চিহিৃতকরণের মানদন্ডে ৫টি শর্তাবলীর মধ্যে ১ শর্তে বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় হতে যাদের নামে মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র/ মুক্তিযোদ্ধা সাময়িক সনদপত্র রয়েছে, তারাই মুক্তিযোদ্ধা হিসিবে চিহ্নিত হবে। অথচ আমাদের সবুজ মুক্তিবার্তা, সাময়িক সনদপত্র, অনলাইন প্রত্যয়ন পত্র ও উপজেলা থেকে যাচাই-বাছাইকৃত তালিকায় নাম রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা জানান, আমরা সবাই পূর্বে সম্মান ও সম্মানী ভাতা পেয়েছি। কিন্তু যখন বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছি, হয়েছি বয়োবৃদ্ধ, কর্মহীন ও অসুস্থ, ঠিক তখনি ভাতা স্থগিত হয়েছে। শেষ বয়সে এসে পরিবার ও সমাজের কাছে হেয় প্রতিপন্ন ও অপমানের শিকার হচ্ছি। মানুষ আমাদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করছে। লজ্জায় ঘর থেকে বের হতে পারছিনা।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবু তাহের বলেন, যদি উল্লেখিত মুক্তিযোদ্ধাগন মন্ত্রনালয় কর্তৃক সম্মানী ভাতা পাওয়ার শর্তাবলী পূরণে সমর্থ হন, তাহলে তারা ভাতা পাবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা বিতরণ সংক্রান্ত উপজেলা কমিটির সভাপতি বৈশাখী বড়–য়া বলেন, যেহেতু মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে, সেহেতু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আমি কাজ করছি।
"