কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
শৈত্য প্রবাহে কুড়িগ্রামের জনজীবন স্থবির
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস
গত ২ সপ্তাহ ধরে কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে হতদরিদ্র পরিবারের বৃদ্ধ ও শিশুরা গরম কাপড়ের অভাবে পড়েছে চরম দুর্ভোগে। অন্যদিকে দিনমজুর শ্রেণির মানুষ কাজে বের হতে না পারায় পরিবার-পরিজন নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক পথের পাশাপাশি নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থাও হচ্ছে বিঘিœত। তীব্র শীত কষ্টে ভুগছেন নদ-নদী তীরবর্তী ও বাঁধে আশ্রয় নেওয়া নদী ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো। শীত থেকে রেহাই পাচ্ছে না গবাদি পশুরাও। গতকাল মঙ্গলবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলা প্রশাসন থেকে ৯ উপজেলায় নতুন করে আরো ৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে শীতের কারণে বাড়ছে রোগ-ব্যাধি। গত সোমবার দিবাগত রাতে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ৩জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আল আমিন মাসুদ জানান। এদিন ১৯০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এরমধ্যে শিশু ওয়ার্ডে ৩৬জন, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ২২ জন, এরমধ্যে শিশু ২১ জন।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালে রহিমুল্যাহ (৫৬) নামে একজন হৃদরোগজনিত সমস্যায় বাকি দুজন শিশুর মধ্যে রুমির ১দিন বয়সী শিশু জন্মগত জটিলতায় এবং মল্লিকার ২দিন বয়সি সন্তান কম ওজন সমস্যায় মারা যায়। কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আনোয়ারুল হক প্রামাণিক জানান, শীতজনিত কারণে রোগীর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। ইনডোর-আউটডোরে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। আমরা সকল রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহন করছি এবং আমাদের প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র-ব্যবস্থাপত্র রয়েছে।
"