আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
সেচ সংকটের কারণে ২০ বিঘা আলুর গাছ বিনষ্টের পথে
আদমদীঘিতে সেচ সংকটের কারণে ২০ বিঘা আলুর গাছ বিনষ্টের পথে। আদমদীঘির সুদিন গ্রামের বাগমারা মাঠে গভীর নলকূপের স্কীমে পানি সরবরাহ না করায় সেচ সংকটে শুকিয়ে বিনষ্ট ও ইরি আবাদের বীজতলা তৈরি করতে না পারায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। অবিলম্বে গভীর নলকূপ চালু করে সেচ ব্যবস্থা করা না হলে রবিশস্যের আবাদ বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে আবাদীদের অভিযোগ। জানা গেছে, আদমদীঘির সুদিন বাগমারা মাঠে একটি গভীর নলকূপ রয়েছে। উক্ত গভীর নলকূপের আওতায় সুদিন, মুরাদপুর, দিগড়া, পাল্লাসহ কয়েকটি গ্রামের ইরি-বোরো আবাদে প্রায় ৩শত বিঘা জমিতে সেচ সুবিধা দেয়া হয়। চলতি রবি মৌসুমে অত্র এলাকার কৃষকরা ইরি বোরো চাষের আগে রবিশস্য হিসাবে আলু, সরিষা, মসুর ডালসহ অন্যান্য ফসলের আবাদ করেন। এই আবাদগুলো এখন ফলন্ত রুপ ধারণ করেছে। কিন্তু বাগমারা মাঠে গভীর নলকুপ থাকলেও আলুসহ অপর রবিশস্যের আবাদে গভীর নলকূপের মালিক রবিশস্যের আবাদে পানি সেচ দিচ্ছেন না। ফলে এই বিপুল পরিমান জমিতে লাগানো ফলন্ত আলুসহ অন্যন্য ফসল পানি সেচ সংকটে গাছ শুকিয়ে বিনষ্ট হতে চলেছে।
সুদিন গ্রামে আলু চাষী নাজিম উদ্দীন, আইয়ুব আলী, বাচ্চু মিয়া,আজাদুলসহ অনেকেই জানান, উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন ও গভীর নলকূপের মালিককে বারবার অনুরোধ করা সত্বেও গভীর নলকূপ চালু করে সেচ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে না। ফলে ফলন্ত আবাদ প্রায় বিনষ্টের পথে।
গভীর নলকূপের মালিক আব্দুর রউফ অসুস্থ থাকায় তার ছেলে রফিকুল ইসলাম জানান, অল্প দিনের মধ্যেই গভীর নলকূপ চালু করা হবে। উপজেলা কৃষি অফিসার কামরুজ্জামান জানান, গ্রামের কলহের কারণে সংকট সৃষ্টি হওয়ায় সেচ সুবিধা পেতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।
"