হামিদুর রহমান, মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
মাধবপুরে অবাধে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ গাইড ও নোট বই
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বিভিন্ন লাইব্রেরিতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ গাইড ও নোট বই। এতে সৃজনশীল পদ্ধতিতে শিক্ষা লাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কোমলমতি শিশু কিশোররা। এসব গাইড ও নোট বই অবাধে বিক্রির ফলে সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতি কার্যকর হচ্ছে না বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।
মাধবপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের বিভিন্ন পুস্তক ব্যবসায়ী ও শিক্ষক এসব গাইড ও নোট বই বিক্রির সঙ্গে জড়িত। সরকারের শিক্ষনীতি বিধিমালায় প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত সব ধরনের গাইড ও নোট বই প্রকাশ ও বিক্রি নিষিদ্ধ থাকলেও নতুন বছরের শুরুতে এক শ্রেণির অসাধু লেখক ও প্রকাশক অধিক মুনাফার লোভে নিষিদ্ধঘোষিত এসব গাইড ও নোট বই প্রকাশ করে বাজারে ছেড়েছেন।
জানা গছে, উপজেলার প্রায় সব বইয়ের দোকানে নিষিদ্ধ নোট বই ও গাইড বইয়ের ছড়াছড়ি। পাঠ্যপুস্তকের সঙ্গে চাইলেই পাওয়া যাচ্ছে সব শ্রেণির গাইড ও নোট বই। অতি মুনাফার লোভে প্রকাশনা কর্তৃপক্ষের বিক্রয় প্রতিনিধি ও বইয়ের দোকানের মালিক কিছু অসাধু শিক্ষককে এসব বই বাজারজাতকরণ ও বিক্রির জন্য প্রলোভন দেখান। এতে শিক্ষকরাও এসব গাইড বই কিনতে ছাত্র/ছাত্রীদের অনেকটা বাধ্য করছেন। সহজেই পাওয়া যাওয়ায় এবং কোথাও কোথাও শিক্ষকের চড়া দামে এসব গাইড ও নোট বই কিনতে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকদের অভিযোগ, নিষিদ্ধ গাইড বই বন্ধে প্রশাসন কার্যত কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা গাইড বই প্রকাশনীর লোকজনদের কাছ থেকে মুনাফা পেয়ে সিলেবাসে নিষিদ্ধ গাইড বই তালিকাভুক্ত করেন। আর সেসব বই অভিভাবকরা ছড়া দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। তাই উপজেলার অভিভাবকরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নিষিদ্ধ গাইড ও নোট বই বিক্রি হচ্ছে অবাধে, আমরা বাধ্য হয়ে কিনছি তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবেন বলে মনে করি।
"