কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি
নিয়মিত সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় জনদুর্ভোগ : রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
গত বছরের ২৩ নভেম্বর থেকে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়ায় সাবরেজিস্ট্রার না থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এলাকার জমি ক্রয়-বিক্রেতা। এতে সরকারও প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
জানা গেছে, সাবরেজিষ্ট্রার ওয়াসিম কল্লল গত বছরের ২৩ নভেম্বর কাপাসিয়া থেকে বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় নতুন কোন সাবরেজিস্ট্রার কাপাসিয়ায় যোগদান না করায় আট কার্যদিবস কাপাসিয়া সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে কোন দলিল সম্পাদন হয়নি। এতে সরকারের প্রায় অর্ধকোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। ৩০ নভেম্বর থেকে অস্থায়ীভাবে কালিগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রার আব্দুল মতিন সপ্তাহে একদিন কাপাসিয়া এসে অফিস করেন। এতে করে দলিল লেখক ও রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের কাজের চাপ অনেক বেড়ে যায়। ফলে রাত নয়টা-দশটা পর্যন্ত তাদের কাজ করতে দেখা যায়। অনেক নারী ছোট-ছোট ছেলে- মেয়ে নিয়ে দলিল করতে এসে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।
দলিল লেখক সমিতির সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন মৃর্ধা জানান, এই অফিসে দৈনিক ৭০ থেকে ৮০টি দলিল হয়। পারমানেন্ট সাবরেজিস্ট্রার না থাকায় সপ্তাহে একদিন অফিস হওয়াতে সারা সপ্তাহের চাপ একদিনে চলে আসে। ফলে কাজের চাপও অনেক বেড়ে যায়। তিনি আরো বলেন, জনদুর্ভোগ লাঘবে আমরা দলিল লেখক সমিতির পক্ষ থেকে চেষ্টা চালাচ্ছি। আগামী সপ্তাহ থেকে দুই দিন অফিস করার জন্য সাবরেজিষ্ট্রারকে বলেছি, এমনটা হলেও এতে কিছুটা দুর্ভোগ কমবে। জমি বিক্রেতা আ. রউফ জানান, উপজেলা ভূমি অফিসে দীর্ঘদিন যাবৎ কাননগু নেই, তার দায়িত্বে রয়েছেন সার্ভেয়ার। ওখানে নামজারি করতে যেয়েও নানা বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে। আমার একটি নামজারি করতে প্রায় তিন মাসের অধিক সময় লেগেছে। আবার সাবরেজিস্ট্রি অফিসেও নিয়মিত হাকিম না থাকায় একই বিড়ম্বনা শিকার হচ্ছি, গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। নকল উঠাতে এসে বিড়ম্বনার শিকার কামাল উদ্দিন বলেন, এক সপ্তাহ আগে দুইটি দলিলের নকলের জন্য দিয়ে গেছি এখনও হাতে পাইনি। নির্দিষ্ট হাকিম না থাকায় প্রয়োজনুসারে দলিল করা, দলিলের নকল উঠানোসহ সব কিছুতে ব্যাহাত হচ্ছে জনগণ।
"