ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরে সাড়ে চার হাজার হেক্টর জমিতে বাইন মরিচ চাষ
ফরিদপুরে চলতি মৌসুমে ‘বাইন মরিচ’র বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টোর জমিতে এই মরিচের আবাদ হয়। বাজারে মরিচের ভাল দাম পাওয়ায় খুশি কৃষক। আর কৃষি বিভাগ মরিচের এই জাতটি সংরক্ষণ করার দাবী জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফরিদপুর জেলার ৯টি উপজেলার প্রায় সকল উপজেলাতে চলতি মৌসুমে বাইন মরিচের ব্যাপক আবাদ হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশী বাইন মরিচের আবাদ হয়েছে ফরিদপুর সদর, সদরপুর, চরভদ্রাসন ও মধুখালী উপজেলাতে। চরাঞ্চলের মাঠ জুড়ে এখন বাইন মরিচের সমারহ। কৃষক-কৃষাণীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছে খেত থেকে মরিচ তোলার কাজে। বাজারে ভাল দাম পাওয়া খুশি তারা। ফরিদপুর জেলার উৎপাদিত মরিচ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলার চাহিদা পুরণ করে থাকে।
কৃষকরা জানান, বাইন মরিচ আবাদে উৎপাদন খরচ একেবারেই কম হয়। এক বিঘা জমিতে মরিচ আবাদ করতে ১০ থেকে ১হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমান বাজার মূল্য থাকরে এক বিঘা জমির মরিচ ৫ থেকে ৬০হাজার টাকা বিক্রয় করতে পারবেন চাষীরা।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানায়, চলতি মৌসুমে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টোর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। বীজ বপনের ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মাথায় মরিচ তোলা যায়। মরিচের ফলন ভাল হয়েছে। বাজারে মরিচের দাম ভার পাচ্ছি। প্রতিকেজি মরিচ ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করছি।
কৃষিবিদ মো. আবুল বাসার মিয়া জানান, চলতি মৌসুমে জেলার চরাঞ্চলে ব্যাপক ভাবে বাইন মরিচের আবাদ হয়েছে। বিশেষ করে চরাঞ্চলে ব্যাপক ভাবে আবাদ হয়েছে। বাজারে ভাল দাম পাওয়া কৃষক খুসি। বীজ বুনার ৩০ থেকে ৩৫দিনের মাথায় ফলন আসে।
"